বাগেরহাটের ফকিরহাট ও কচুয়া উপজেলায় পুনর্নির্বাচন দাবি করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল দুপুরে এ দুই দলের পক্ষ থেকে বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও কচুয়ায় পৃথক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচনের দিন ফকিরহাটে তাদের দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নিয়ামত হোসেনের উপর স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্বে নিয়োজিত বাগেরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলামের পরিকল্পিত নৃশংসতার বিচার, ম্যাজিস্ট্রেটকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে ফৌজদারি আইনে বিচার, নির্বাচন কমিশনের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন, প্রার্থীর পকেট থেকে টাকা ছিনতাই ও মারপিটে জড়িত বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ ও ফকিরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে কচুয়া উপজেলার নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে কচুয়া উপজেলা বিএনপি। দুপুরে বিএনপির প্রার্থী সরদার জাহিদ হোসেনের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের আগের দিন স্থানীয় সংসদ সদস্যের পরামর্শে ১৬ জন প্রিসাইডিং অফিসার ও শতাধিক পোলিং অফিসার পরিবর্তন করে সে পদে দলীয় সমর্থকদের নিয়োগ দেওয়ার অভিয়োগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, ভোট ও ভোট-পরবর্তী সরকারদলীয় প্রার্থীর লোকজন শতাধিক বাড়ি, অর্ধশতাধিক দোকানপাটে হামলা, দুই শতাধিক কর্মীকে মারপিট করে আহত করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া ভোটের দিন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ও মারপিট করে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধার সৃষ্টি করেছে। এতে মাত্র ১০ থেকে ১৫% লোক ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পেরেছে এবং ১৬টি কেন্দ্র থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে তার আনারস প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু ভোটের ফলাফলে ৬৩% ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।