আর ইউক্রেইনে সাম্প্রতিক গণআন্দোলন ও ক্ষমতার পালাবদলের পর এ ঘটনায় পশ্চিমা বিশ্ব ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে।
স্বায়ত্ত্বশাসিত ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোল বিমানবন্দর রাশিয়ার নৌবাহিনী দখলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেইনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন অ্যাভাকভ।
তবে ওই অঞ্চলে রুশ নৌঘাঁটি ব্ল্যাক সি ফ্লিট বিমানবন্দর দখল অভিযানে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
ক্রিমিয়ার সিমফারোপোলে আরেকটি প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও অস্ত্রধারীরা শুক্রবার দখল করেছে। তারা রাশিয়ার পাঠানো বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরসেন অস্ত্রধারীদের এ উপস্থিতিকে ‘সশস্ত্র আগ্রাসন’ আখ্যা দিয়েছেন।
এক ফেইসবুক বার্তায় তিনি লেখেন, “যা ঘটেছে তাতে আমি মনে করি সব আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং নীতিমালা ভঙ্গ করে সশস্ত্র আগ্রাসন এবং দখলদারিত্ব চালানো হয়েছে”। এ ঘটনাকে ‘উস্কানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান আরসেন।
রাশিয়া সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দর দখলের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ‘রাশিয়ান ব্ল্যাক সি ফ্লিট’ এর এক মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স বলেছে, এই ফ্লিটের কোনো ইউনিটই বিমানবন্দরের দিকে অগ্রসর হয়নি, বিমানবন্দর অবরুদ্ধ করা তো দূরের কথা।
ওদিকে, অস্ত্রধারীদের পরিচয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ইউক্রেইনের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ওলেক্সান্দর তুর্কিনোভ তার নিরাপত্তা প্রধানদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েছে। ক্রিমিয়া নিয়ে আরো ঘনীভূত হচ্ছে ইউক্রেইন-রাশিয়া সঙ্কট।
ইউক্রেইনের একমাত্র রাশিয়ান-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল এটি।
একারণে অঞ্চলটি ইউক্রেইনের নতুন নেতাদের এবং রাশিয়ার প্রতি অনুগতদের মধ্যে সংঘাত-সংগ্রামের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে।
সিমফারোপোলে বৃহস্পতিবার সশস্ত্র ব্যক্তিরা পার্লামেন্ট এবং কয়েকটি সরকারি ভবন দখল করে নেয় এবং রাশিয়ার পতাকা ওড়ায়। এ ঘটনার মাত্র একদিন পরই ওই শহরের বিমানবন্দরে অস্ত্রধারীদের হানা দেয়ার ঘটনা ঘটল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।