গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় দুই টাকা ফেরত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে লেগুনার এক যাত্রীকে চালক ও তার সহকারী পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি হলেন গাজীপুরের সদর উপজেলার লোহাকৈর এলাকার করিম মিয়ার ছেলে সফিউদ্দিন (৪৫)। তিনি তেলিরচালা এলাকার করিম টেঙ্টাইলের শ্রমিক ছিলেন। ঘটনার পর লেগুনার চালক বাবুল মিয়া (৩০) ও তার সহযোগী মো. সোহাগকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী লেগুনার যাত্রী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত সফিউদ্দিন গতকাল সকালে পারিবারিক কাজে কোনাবাড়ি যান। সেখানে কাজ শেষে তেলিরচালায় কারখানায় যাওয়ার জন্য একটি লেগুনায় ওঠেন তিনি। কোনাবাড়ি থেকে তেলিরচালা পূর্বাণী পর্যন্ত ভাড়া তিন টাকা। সফিউদ্দিন লেগুনার সহযোগী সোহাগকে ১০ টাকার একটি নোট দেন। সহযোগী সোহাগ তাকে পাচ টাকা ফেরত দেন। সফিউদ্দিন তার কাছে বাকি দুই টাকা ফেরত চাইলে সোহাগ জানান, দুই টাকা ভাঙতি নেই। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই মধ্যে লেগুনাটি তেলিরচালা এলাকায় পেঁৗছে যায়। সেখানে পেঁৗছানোর পরও তাদের বাকবিতণ্ডা চলতে থাকে এবং হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে লেগুনার চালক বাবুল মিয়া তার আসন থেকে নেমে আসেন। এ সময় বাবুল ও সোহাগ মিলে লাঠিসোঁটা নিয়ে সফিউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সফিউদ্দিনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সফিউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক হওয়া বাবুল ও সোহাগ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, দুই টাকা ভাঙতি না থাকায় সফিউদ্দিনকে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ নিয়েই ঝগড়া ও পরে মারামারি হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালিয়াকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সেলিম রেজা বলেন, মারধরের কারণেই সফিউদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লেগুনার অন্য যাত্রীদের কাছ থেকেও একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।