বাহরাইনের রাজধানী মানামায় গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণে নিহত তিন শ্রমিকের বাড়ি বুড়িচং উপজেলায় রামপুর ও জিয়াপুরে এখন শোকের মাতম চলছে। শুক্রবার ভোরে বাহরাইন থেকে রামপুর গ্রামের মৃত নাজির মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৫) ও মৃত আবদুল গফুরের ছেলে আবু জালাল (৩২) এবং জিয়াপুর গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে দুলাল মিয়ার (২৫) মৃত্যুর খবর আসে। তারা রং মিস্ত্রি ছিলেন। নিহত দুলাল মিয়া মোশারফ হোসেনের শ্যালক। বাহরাইনের রাজধানীর মানামার মাখারকার বৃহস্পতিবার স্থানীয় রাত আড়াইটায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনতলা বাড়িতে আগুন লাগায় ঘটনায় ধোঁয়ার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার কথা জানান সেখানকার বাংলাদেশিরা। নিহতদের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, এক সময়ের রাজমিস্ত্রীর সহকারী মোশারফ ভাগ্য উন্নয়নে ১২ বছর আগে বাহারাইন গেলেও আর্থিকভাবে ভালো করতে পারেননি। ভিসা না থাকায় ছয় বছর ধরে বাড়িতে আসতে পারেননি তিনি। তিন ছেলে ইমন (১২), রিমন (১০) ও রিপনকে (৮) নিয়ে একটি ভাঙা ঘরে দুর্ভোগে দিন কাটছে স্ত্রী মর্জিনার। কয়েক মাস ধরে তিনি কোনো টাকা পাঠাতে পারেননি বাড়িতে। বিদেশ যাওয়ার সময় স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ করে গেলেও দীর্ঘদিনে টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। স্বামীর শোকে স্ত্রী মর্জিনা এখন মূর্ছা যাচ্ছেন বার বার। একই ঘটনায় একই গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে আবু জালাল মারা গেছেন। পাঁচ লাখ টাকা ধারদেনা করে বছর দেড়েক আগে তিনি বাহারাইনে গিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত মাত্র ৬০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন বাড়িতে। ঋণের সুদ বাড়লেও সংসারে সমৃদ্ধি বাড়েনি তার। নিহত মোশারফের শ্যালক পাশর্্ববর্তী জিয়াপুর গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে দুলাল মিয়াও বাহারাইনে গিয়ে দুলাভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। অগি্নকাণ্ডে তিনিও নিহত হন। এক সন্তানের জনক দুলালও আর্থিকভাবে সুবিধা করতে পরেননি। স্ত্রী আকলিমার সঙ্গে ক'দিন আগে ফোনে কথা হয়েছিল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।