আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়তেই সরগরম কলকাতা**

অপেক্ষা ছিল শুধু নাম ঘোষণার। নাম ঘোষণা হতেই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়লেন ডান-বাম সব দলের প্রার্থীরাই। বাংলার আকাশে বাতাসে এখন একটাই আওয়াজ- 'লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই' কিংবা 'ভোট দেবেন কোন খানে? জোড়া ফুলের মাঝখানে'। বুধবার ভারতের ১৬তম লোকসভার নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তার কয়েকঘণ্টা পরেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেয় পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী বামফ্রন্ট। আর গতকালই নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়ল দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা। এদিন সকালেই দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত বঙ্রি হয়ে প্রচারে নামেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র। এই আসনে জয় নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল। মদন মিত্রের দৃঢ় বিশ্বাস 'রাজ্যের ৪২ টি আসনেই তৃণমূল জিতবে'। মন্ত্রী বলেন 'বিয়ের আগে যেমন নহবত বসে, মন্ত্রীর সফরের আগে যেমন পাইলট কার থাকে, ঠিক তেমনি মমতা বন্দোপাধ্যায় নির্বাচনের নামার আগে আমরা পাইলট বাহিনীর দায়িত্ব পালন করছি'। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ আলি দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে বের হন। প্রচার শুরু হয় দলীয় কার্যালয় থেকে। বারাসাতের গতবারের সংসদ সদস্য কাকুলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনেও দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে পুরো বারাসাত কেন্দ্র জুড়ে। পিছিয়ে নেই বাম প্রার্থীরাও। এদিন সকাল সকাল ভোট প্রচারে নামেন মালদহ (দক্ষিণ) সিপিআইএম প্রার্থী আবুল হাসনত খান।

মালদহ শহরের নির্বাচনী এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার সারলেন এই সিপিআইএম প্রার্থী।

এই কেন্দ্রের বর্তমান সংসদ সদস্য কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী'র ব্যর্থতা ও মালদায় উন্নয়নের ডাক দিয়েই এবার প্রচারে মূল হাতিয়ার করেছেন আবুল হাসনত খান। আসানসোলের সিপিআইএম প্রার্থী বংশগোপাল চৌধুরীর সমর্থনে দেওয়া লিখন শুরু হয়েছে বার্ণপুর, মুরগাশোল, জামুরিয়া প্রভৃৃতি এলাকায়। কয়েকটি এলাকায় বের হয় প্রচার মিছিলও। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বাম প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জা খানের সমর্থনেও দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেছে। দলীয় কার্যালয় থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারও করেন ওই বামপ্রার্থী। জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও সিপিআইএম প্রার্থী মুজ্জাফর হোসেনের সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। নাম ঘোষণা শুরু হতেই সকালেই মিছিল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাম কর্মী-সমর্থকরা। ব্যারাকপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সুভাসিনী আলির সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেছে। কর্মী-সমর্থকদের আশা এবার এই কেন্দ্রের তৃণমূল সংসদ সদস্য দীনেশ ত্রিবেদী নয়, জিতবে তাদের প্রার্থী। বিকালের দিকে প্রচারে নামেন খড়দহ লোকসভা কেন্দ্রের হেভিওয়েট প্রার্থী অসীম দাসগুপ্তও। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে ভোট ফেরি করে বেড়ান।

তবে প্রথম দিনের নির্বাচনী প্রচারে বেশ কিছুটা হলেও পিছিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি। কংগ্রেস এখনও তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি, সে অর্থে প্রচারের প্রশ্নই নেই। অন্যদিকে বিজেপিও রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে মাত্র ১৭টি আসনে তাদের প্রার্থী দিতে পেরেছে। তাই তারাও এখনো সে রকম গুছিয়ে উঠতে পারেনি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.