জামায়াত-শিবিরের টাকা আসছে কুয়েত থেকে। প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অঙ্কের এই টাকা খরচ হচ্ছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনায়। এ ছাড়া হত্যা, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ ছাড়াও নানা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এসব টাকা ছড়ানো হচ্ছে। বিদেশ থেকে টাকা সংগ্রহকারী এক চিকিৎসক তার ছেলেসহ র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তারা হলেন ডা. আবদুর রহমান (৫২) এবং আরিফুর রহমান (২২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়। বরগুনায় তাদের গ্রামের বাড়ি।
গত বৃহস্পতিবার রাত ২টায় রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের ন্যাশনাল হাউজিংয়ের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আবদুর রহমান তেজগাঁও থানার স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে উপ-সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা। তার ছেলে ইউনিভার্সিটি ডেন্টাল কলেজে বিডিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। দুজনই জামায়াত-শিবিরকর্মী বলে র্যাব জানায়। গতকাল মিরপুরে র্যাব-৪ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম তানভীর আনোয়ার জানান, ডা. আবদুর রহমানের মামা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবদুল জাব্বার বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী। তিনি প্রতি মাসে জামায়াতের জন্য ঢাকায় টাকা পাঠান। এ টাকা সরবরাহের দায়িত্ব পালন করেন ডা. আবদুর রহমান এবং তার ছেলে। উদ্ধার করা দুই লাখ টাকা কুয়েত থেকে পাঠানো হয় আবদুর রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। আবদুর রহমান ও তার ছেলে আরিফুর এ টাকা শিবির প্রকাশিত বায়তুল মাল সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করেন। সংবাদ পেয়ে র্যাব তাদের গ্রেফতার করে। তবে বাযতুল মাল সম্পাদককে পাওয়া যায়নি। র্যাব কর্মকর্তা জানান, আবদুর রহমান জামায়াতের বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন এবং অর্থ সহায়তা করে আসছেন। শুধু তার মামা জাব্বারই নন, এমন বহু প্রবাসী বাঙালি নিয়মিত টাকা পাঠাচ্ছেন জামায়াত-শিবিরের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য। আবদুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান মিরপুর-৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেকশন উপ-শাখার শিবিরের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি শিবিরের বিভিন্ন মিছিল মিটিং ও ধ্বংসাত্দক কার্যাবলিতে তিনি অংশগ্রহণ করেন। র্যাব জানায়, এর আগেও বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহের কাজ করেছেন আবদুর রহমান ও আরিফুর রহমান। র্যাবের কাছে তারা জানান, সংগ্রহ করা এ অর্থ দিয়ে শিবির তাদের হরতালের মতো কর্মসূচিতে অস্ত্র-গোলাবারুদ সংগ্রহ করে ধ্বংসাত্দক কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।