প্রজন্মের হাত ধরে জাগরণের পথে
কার্ল মার্ক্সের সাথে কথা হল। আমার দিকে তাকিয়ে মিট মিট করে হাসছিলেন। বললাম "হাসছেন কেন"?
উনি বললেন, তোমরা একবিংশ শতাব্দীতে যে চিন্তা কর, আমি উনবিংশ শতাব্দীতে এর থেকে অনেক গঠনমূলক চিন্তা করতে পারতাম।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, "কি রকম"?
"আমি ধর্মের ভুল প্রয়োগ নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম ধর্মের প্রায়োগিক ভুল শোষণের হাতিয়ার।
আর তোমাদের জেনারেশন ধর্মকে ভুল প্রমাণের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। "
আমি বললাম, "এতেতো জ্ঞানশাস্ত্রের বিকাশ ঘটেছে। জ্ঞানের অনেকগুলো শাখা বিকশিত হয়েছে। নতুন চিন্তা চ্যালেঞ্জ হিসাবে সামনে এসেছে। মানুষ আরোও দক্ষ ও গঠনমূলক হচ্ছে"।
উনি বললেন, "সমস্যা হচ্ছে তুমি যখন মানুষের কাছ থেকে তার ধর্মকে ছিনিয়ে নেবে, তখন মানুষের একটা বড় অংশ তোমাকেই তাদের ধর্ম বানিয়ে ফেলবে। যেমনটা ঘটেছে গৌতম বুদ্ধ, গুরু নানক, অথবা লালনের ক্ষেত্রে। "
এবার আমি একটু উৎসাহী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, "তাহলে আপনি হাসছিলেন কেন? আপনাকে দেখেতো খুশি মনে হচ্ছে?"
মিচকি হেসে বললেন, "তোমাদের জেনারেশন যেভাবে ধর্মের পিছনে লেগেছে, তাতে অচীরেই আমার সাম্যবাদী দর্শণ ধর্মে পরিনত হবে। তোমাদের তো সে কোয়ালিটি নেই যে তোমরা সেই স্তরে পৌছাবে। লেনিন, ক্যাষ্ট্রো আর চে'র সে কোয়ালিটি ছিল।
যেহেতু আমি দান্দিক বস্তুবাদ এবং সাম্যবাদী দর্শণের চুড়ান্ত জনপ্রিয় জনক, সেহেতু পৃথিবীর মানুষ আমাকে ভবিষ্যতের ধর্ম বানাবে। আর তোমরা শীঘ্রই আমার পুঁজা করা শুরু করবে। যে দেশের মানুষ লালনকে ধর্ম আর শাহাজালালের মত মহান যোদ্ধার কবরকে মাজার বানাতে পারে, সে দেশে আমি নবী বা ভগবান হব এটাই সাভাবিক। "
আশ্চার্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, "আপনার কষ্ট লাগেনা?"
রহস্যময় হাসি দিয়ে বললেন, "আমি ক্লান্ত, বিরক্ত, এবং অতিষ্ঠ। পরিশেষে ভাবলাম এই সন্মানটা উপভোগ করা যাক।
"
দুজনে একসঙ্গে হেসে উঠলাম। বিদায় নেবার সময় জানতে চইলাম মহান বিপ্লবী চে কেমন আছেন?
বললেন, "চে কনডম বের হওয়ার আশংকায় সে আতংকিত। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।