বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
জেনি মার্কস, কার্ল মার্কস-এর পাশে ।
মার্কসবাদ কতটুকু হেগেলের দ্বারা প্রভাবিত, কতটুকু ফ্রেডারিক এঙ্গেলস-এর দ্বারা প্রভাবিত-আজ আমি সে তর্কে যাব না। আমি কেবল দাবী করব-মানবসভ্যতা যে মার্কসবাদ পেল তার পেছনে নিহিত ছিল মার্কসের প্রতি তাঁর স্ত্রীর জেনি মার্কসের গভীর অবিচল প্রেম।
আমৃত্যু ব্যাক্তি মার্কস-কে প্রেমে প্রেরণায় ভরে রেখেছিলেন জেনি। ছিলেন প্রুশিয়ার উচ্চবিত্তশ্রেণির একজন, তা সত্ত্বেও ভালোবাসার টানে তরুন মার্কসের হাত ধরে নেমেছিলেন অজানা বিপদসঙ্কুল পথে। ইউরোপের নানা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে শেষমেশ ঠাঁই হল লন্ডন শহরে। শ্রমজীবি মানুষের ভাগ্য বদলাতে চাই নতুন ভাবাদর্শ। রাতদিন মার্কস পড়ছেন আর লিখছেন।
পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা করুন। পরপর তিন তিনটি সন্তানের মৃত্যু হল জেনির। মেনে নিয়েছিলেন জেনি।
কাজেই, আজ এই অসমসাহসী দৃঢ়চেতা কল্যানীয়া নারীর প্রতি চোখ ফেরাই।
১৮০০ খ্রিস্টাব্দ।
প্রুশিয়া। জার্মানী। তার চমৎকার ভূ-নিসর্গদৃশ্য। গড়ানো সব নীলাভ ধূসর পাহাড়। পাহাড়ে ঘন সবুজাভ পাইন বন।
পাইন পাতায় সূর্যরশ্মি ঝলমল করে। ঝোপের আড়ালে নেকড়ে শাবক রোদ পোহায়। কী নির্জন বন। কেবল ঝর্না জলের শব্দ। পাদদেশে বড় বড় ধূসর পাথর।
ঘন আঙুরবীথি। নীলাভ আকাশের নিচে গড়ানো ঢালের পর হলদে উজ্জ্বল যবক্ষেতের প্রান্তর। বাতাসে পক্ক দ্রাক্ষার কড়া গন্ধ। কৃষকের গান। নিঝুম প্রান্তর।
তারি মাঝ দিয়ে বহে চলেছে মেসেলি নামে একটি নদী। সে নদীর দুপাশে নান্দনিক এক উপত্যকা। আর একটি নগর। ত্রিয়ের।
ত্রিয়ের নগরটি প্রুশিয়ার হলেও আমি যে সময়টার কথা বলছি ছিল ফ্রান্সের দখলে।
কেননা, ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দ থেকেই ফরাসী বিপ্লবের মূলমন্ত্র ছড়াতে নেপোলিয়ান একের পর এক ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো অধিকৃত করে নিচ্ছিলেন । প্রুশিয়াও চলে গেছে সিংহহৃদয় সেই সম্রাটের পক্ষপুটে। চলে গিয়ে ভালোই হয়েছে। কেননা, প্রুশিয় রাজতন্ত্রের চেয়ে ফরাসী বিপ্লবের মূলমন্ত্র ছিল অনেক বেশি মানবিক।
যা হোক।
ত্রিয়ের নগরে বাস করতেন হার্শেল মরডেচাই। জাতে ইহুদি। বহু পুরুষ ধরে ইহুদি রাববি।
অবশ্য হার্শেল মরডেচাই ছিলেন সত্যিকার অর্থে আলোকপ্রাপ্ত। মানে, ফরাসী যুক্তিবোধ ও ধর্মীয় সহনশীলতায় বিশ্বাসী হার্শেল মরডেচাই।
ছিলেন ভলতেয়ার আর রুশোর ভক্ত। আইন নিয়ে পড়েছেন। পড়া শেষে হলেন উচ্চ আদালতের উকিল।
আগেই লিখেছি আমি যে প্রুশিয় রাজতন্ত্রের চেয়ে ফরাসী বিপ্লবের মূলমন্ত্র ছিল অনেক বেশি মানবিক। কাজে কাজেই ফরাসী শাসনে ইহুদিরা মন্দ ছিল না।
নেপোলিয়ন সম্রাট হলে কী হবে-ছিলেন ফরাসী জ্ঞানযুগের আলোয় আলোকিত। ত্রিয়ের নগরে যে সব ইহুদিরা বাস করত তারা সবাই ফরাসী নাগরিকত্ব পেয়েছিল। কাজেই হার্শেল মরডেচাই-এর পরিবারও।
বিয়ে করেছিলেন হার্শেল মরডেচাই। স্ত্রীর নাম হেনরিয়েট নি প্রেসবার্গ।
সগোত্র।
যাহোক। ফরাসী শাসনে প্রুশিয়ার ত্রিয়ের নগরের সুখশান্তি বেশি দিন টিকল না। কেননা, নেপোলিয়ন পরাজিত হলেন। তারপর ত্রিয়ের নগরটি আবার ফিরে পায় প্রুশিয়া।
সময়টা ১৮১৪। প্রুশিয় সরকার আগের মতই ইহুদিবিরোধী নীতি গ্রহন করে। ইহুদিরা যে কোনও পেশা অধিকার হারাল।
অনেকটা নিরুপায় হয়েই পেশা টিকিয়ে রাখতে খ্রিস্টানধর্মে দীক্ষিত হওয়ার কথা ভাবলে ন হার্শেল মরডেচাই। ১৮১৭ সাল।
খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হলেন হার্শেল মরডেচাই। ধর্ম পরিবর্তন করেই নতুন নাম গ্রহন করলেন। হেইনরিখ মার্কস। হেনরিয়েট নি প্রেসবার্গ তখন গর্ভবতী।
১৮১৮।
৫ মে । হেনরিয়েট নি প্রেসবার্গ-এর এক ছেলে হল। শখ করে ছেলের নাম রাখা হল কার্ল। তখন কি হেনরিয়েট নি প্রেসবার্গ ভেবেছিলেন যে বড় হয়ে এই ছেলেই মানবসভ্যতার সেরা উক্তিটি করবে, The philosophers have only interpreted the world in various ways; the point is to change it.
যা হোক। কার্লের পড়াশোনা শুরু হল স্থানীয় একটি স্কুলে।
কার্লের অন্য ভাইবোনের হল: সোফি হেরমান হেনরিয়েট লুইজি এমিলি এবং ক্যারোলাইন।
বিশ্বমানবের প্রতি কার্ল মার্কসের ভালোবাসার কথা আমরা জানি। কাজেই, ভাইবোনের প্রতিও যে ওর গভীর টান ছিল সেটা অনুমান করা যায়। বাবাকে ভীষন ভালোবাসতেন কার্ল। বাবার প্রতি লেখা কার্লের চিঠি পড়ে জেনেছি।
(চিঠিগুলি মাকর্স-এঙ্গেলস রচনাবলীর ১ম খন্ডে রয়েছে। )
কার্লের বাবারও পেশাগত দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।
ত্রিয়ের নগরের আইনজীবি পরিষদের ডীন নির্বাচিত হয়েছিলেন হেইনরিখ মার্কস।
২
তো সেই সময় ত্রিয়ের নগরের সিটি কাউন্সিলর ছিলেন ব্যারন লুদভিগ ফন ওয়েস্টাফালেন। ভারি আমুদে লোক ছিলেন ব্যারন লুদভিগ ফন ওয়েস্টাফালেন।
সময় পেলে বই পড়তেন। হোমার। শেক্সপীয়র। সেই সময়কার প্রখ্যাত ফরাসী সমাজতান্ত্রিক ছিলেন সেন্ট সাইমন। তাঁর লেখাও পড়তেন পৃথিবী বদলানোর স্বপ্ন দেখতেন ব্যারন লুদভিগ।
Claude Henri de Rouvroy Saint-Simon (1760-1825), French socialist, born in Paris. At the age of 16 he went to the United States to fight in the American Revolution. When he returned to France, he supported the Revolution there, giving up his title. He is considered one of the founders of modern socialism. His writings present arguments in favor of a social organization directed by people of science and industry for the benefit of the whole society. He believed that industrialization—a term he created—would improve society by eliminating war and poverty and by maintaining justice. He also hoped that Christianity would be a guiding force for industrialization. The students of Saint-Simon organized and popularized his ideas after his death, and his principles became known as the philosophy of Saint-Simonianism. His major work is Le nouveau Christianisme (The New Christianity, 1825).
তো, ব্যারন লুদভিগ ফন ওয়েস্টাফালেন-এর এক মেয়ে ছিল। জেনি। জেনি জন্মেছিল ১২ ফেব্রুয়ারি। ১৮১৪।
দেখা যাচ্ছে কার্লের চেয়ে চার বছরের বড়ই ছিল জেনি।
যা হোক। একই শহরে বসবাস। হয়তো কবিতা লেখার বয়েসের আগেই কার্ল জেনিকে দেখেছিল। ঠিক কত বয়েসে কার্লের ভালো লেগেছিল জেনিকে অথবা জেনির ভালো লেগেছিল কার্লকে- সেসব বলার উপায় আজ নেই। তবে নগরেই দুজন বড় হয়ে উঠছিল।
এক সময় দুজনের সম্পর্কটা ভালোবাসায় গড়াল। তবে সে ভালোবাসা বহুদূর গিয়েছিল। ভবিষ্যতের কবিরা যে ভালোবাসা অমর করে রাখবেন। আমৃত্যু ব্যাক্তি মার্কস-কে প্রেমে প্রেরণায় ভরে রেখেছিলেন জেনি। ভালোবাসার টানে মার্কসের হাত ধরে নেমেছিলেন অজানা বিপদসঙ্কুল পথে।
শেষমেশ ঠাই হয়েছিল লন্ডন শহরে। শ্রমজীবি মানুষের কল্যাণের জন্য মার্কস পড়ছেন আর লিখছেন। আয় নেই। তিন তিনটি সন্তানের মৃত্যু হল। মেনে নিয়েছিলেন জেনি।
৩
ধরি কার্লের তখন ১৭ বছর বয়েস। দুচোখ মেলে দেখছেন বিশ্বপ্রকৃতি। কার্ল জন্মেছিলেন জার্মান রোমানটিক আন্দোলনের কালে। পরে অবশ্য সে রোমানটিকতা ঝেড়ে বলেছিলেন,We set out from real, active men, and on the basis of their real life process we demonstrate the development of the ideological reflexes and echoes of this life process.
কার্ল ঠিক করল- নৌকায় করে ঘুরে বেড়াবে।
মেসেলি নদীর পাড়ে নৌকায় উঠল।
দুপাশে চমৎকার ভূ-নিসর্গদৃশ্য। গড়ানো সব নীলাভ ধূসর পাহাড়। পাহাড়ে ঘন সবুজাভ পাইন বন। পাইন পাতায় সূর্যরশ্মি ঝলমল করে। ঝোপের আড়ালে নেকড়ে শাবক রোদ পোহায়।
কী নির্জন বন। কেবল ঝর্না জলের শব্দ। পাদদেশে বড় বড় ধূসর পাথর। ঘন আঙুরবীথি। নীলাভ আকাশের নিচে গড়ানো ঢালের পর হলদে উজ্জ্বল যবক্ষেতের প্রান্তর।
বাতাসে পক্ক দ্রাক্ষার কড়া গন্ধ। কৃষকের গান। নিঝুম প্রান্তর।
কার্ল অভিভূত হয়ে যায়।
নৌকা এখন রাইন নদী।
পাটাতনে টানটান হয়ে শুয়ে আছে কার্ল। চোখ দূরের ফার বনে নিবদ্ধ। ওপরে নীলাভ পাহাড়। আর বিশাল একটা আকাশ । রং শূন্য।
চিলশূন্য।
এ পথে চলে গেছে কত কত জাতি।
গথ, ভিসিগথ; ভ্যান্ডাল প্রভৃতি।
তাদের অশ্বের ধ্বনি শোনো হে কবি।
কী তাদের লক্ষ্য ছিল আর্য যাযাবর?
যেতে যেতে ধুলিসাৎ জার্মানিক নগর।
মানুষ যেতে চায় বহুদূর জানি।
যদিও তার পদচ্ছাপ ঢাকে ধুলায়।
আমারও যাত্রা হবে অতি শিঘ্রই।
প্রারম্ভে প্রতিজ্ঞা করি: বদলাব জগৎ।
আমার মৃত্যুর পরও আমি বেঁচে রব।
সে কাহিনী লিখবে অন্য এক কবি।
এভাবে কবিতা উঠে আসে।
নৌকায়।
ঢেউয়ের দুলুনিতে।
৪
সন্ধ্যায় লুদভিগ আঙ্কেলের বাড়ি আড্ডা।
সে আড্ডায় জেনিও থাকে। লুদভিগ আঙ্কেলের কারণে এই বয়েসেই জেনি কত কিছু যে জানে। জেনি ত্রিয়ের নগরের অন্য মেয়েদের মত নয়। জেনি ফরাসী সমাজতান্ত্রিক সেন্ট সাইমন-এর ভক্ত হয়ে উঠেছে। আজকাল নিজেকে সমাজতান্ত্রিক ভাবে জেনি।
শীত আসছে। জেনিদের বসার ঘরে ফায়ারপ্লেসে আগুন জ্বলে। উষ্ণ ঘরে হলদে দেওয়ালে ছায়া।
একদিন সন্ধ্যায় কার্ল বলল, আঙ্কেল।
বল, কার্ল কি বলবে।
ব্যারন লুদভিগ অন্যমনস্ক ছিলেন। এবার কার্লের কথায় সতর্ক হলেন।
ক’দিন ধরে আমি একটা অদ্ভুত কথা ভাবছি। কার্ল বলল।
কী ভাবছ।
ব্যারন লুদভিগ সামান্য বিস্মিত।
কার্ল বলল, মানুষ নিজের শ্রমেই সব কিছু গড়ে। তাহলে সেসবের কৃতিত্ব মানুষ কেন ঈশ্বরকে দেয়? রাষ্ট্রকে কেন দেয়। কার্লের কন্ঠস্বরে তিক্ততা।
তাই তো।
ব্যারন লুদভিগও স্পস্টত বিরক্ত।
কার্ল বলল, কিছুই আকাশ থেকে পড়েনি- অথচ মানুষ সবের কৃতিত্ব দেয় রাষ্ট্রকে কিংবা ঈশ্বরকে। এ ভারি অযৌক্তিক।
এ খুবই অন্যায়। এবার জেনি বলল।
তাই তো। ব্যারন লুদভিগ মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন।
আড্ডায় কথা ঘুরে যায়। জেনি বলল, জান বাবা, কার্ল না কদিন পর বন চলে যাচ্ছে। বন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।
ভালো। তা কী নিয়ে পড়বে কার্ল? ব্যারন লুদভিগ জিগ্যেস করলেন।
আইন। বাবার ইচ্ছে তেমন।
ব্যারন লুদভিগ বললেন, ভালো।
বাবার পেশা নিতে চাও?
দেখা যাক। আমার লিখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। ভাবছি পাশ করে খবরের কাগজে ঢুকব।
কার্ল বলল।
বেশ বেশ। ব্যারন লুদভিগ উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেন।
৪
বন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়তে চলে গেল কার্ল।
তারপর বন থেকে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
সেখানেই হেগেল পড়া শুরু হল কার্লের।
জীবন ভীষন ভাবে বদলে গেল। হেগেল ঠিক কী বলতে চেয়েছিলেন তা যেন কার্লই একমাত্র বুঝল। অন্যরা নয়।
ইতিহাসের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা ...
আমারও যাত্রা হবে অতি শিঘ্রই।
প্রারম্ভে প্রতিজ্ঞা করি: বদলাব জগৎ।
আমার মৃত্যুর পরও আমি বেঁচে রব।
সে কাহিনী লিখবে বিশ্বের সব কবি।
৫
১৯ জুন । ১৮৪৩। কার্ল আর জেনির বিয়ে হল ।
তারপর?
আবারও স্মরণ করি: আমৃত্যু ব্যাক্তি মার্কস-কে প্রেমে প্রেরণায় ভরে রেখেছিলেন জেনি। ভালোবাসার টানে মার্কসের হাত ধরে নেমেছিলেন অজানা বিপদসঙ্কুল পথে। শেষমেশ ঠাই হয়েছিল লন্ডন শহরে। শ্রমজীবি মানুষের কল্যাণের জন্য মার্কস পড়ছেন আর লিখছেন। আয় নেই।
তিন তিনটি সন্তানের মৃত্যু হল। মেনে নিয়েছিলেন জেনি।
৬
লন্ডন। হাইড পার্ক। পার্কের এক কোণে আজও শুয়ে আছেন কার্ল মার্কস।
আজও লোকে ওখানে ভিড় করে। সকাল। দুপুর। বিকেল।
তার কারণও আছে।
বিশ্বের প্রজ্ঞাবান ব্যাক্তিদের অন্যতম কার্ল মার্কস। পান্ডিত্য এক জিনিষ, প্রজ্ঞা আরেক। বিশ্বের খুব কম ব্যাক্তির মধ্যেই পান্ডিত্য ও প্রজ্ঞার বিরল সম্মিলন দেখা যায়। যে কারনে মার্কসের প্রতিভা বিরল। প্রায় একক ভাবেই বিশ্বকে দেখার ভঙ্গিটা আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছেন মার্কস।
তাঁর অপ্রতিরোধ ভার্বাদর্শের কারনে আজও প্রভাব রেখে চলেছেন কার্ল মার্কস। বর্তমান অথনৈকিত মন্দায় ইউরোপের পুঁজিপতিরা আবারও খুলছে তাঁর নিষিদ্ধ বইয়ের পৃষ্ঠা। যদি মুক্তির পথ পাওয়া যায়।
শ্রমজীবি মানুষের জন্য মার্কসের ছিল অপার সহানুভূতি। যে কারণে শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক হয়েছেন নিন্দিত।
সে নিন্দা আজও অব্যাহত।
তা সত্ত্বেও, লোকে আজও লন্ডনের হাইড পার্কে ভিড় করে।
৭
আমাদের আসলে লন্ডনে পা রেখেই খোঁজা উচিত জেনির কবর।
হাতে এক গুচ্ছ ফুল নিয়ে।
তথ্য নির্দেশ:
T.Z .Livine. From Socrates to Sartre.
"Karl Marx." Microsoft® Student 2008 [DVD]. Redmond, WA: Microsoft Corporation, 2007.
Microsoft ® Encarta ® 2008. © 1993-2007 Microsoft Corporation. All rights reserved.
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।