আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরিবর্তিত পৃথিবীর গতি ও সাহিত্যে নগ্নতাঃ দায়িত্ববোধ



আজকাল ফেসবুকের পাতা বা অন্য যেকোনো সাইটের পাতা খুললেই চোখে পড়বে যৌনতা বিষয়ক সস্তা তথ্য!
মানছি বিষয়টিকে ট্যাবু করে রেখে লাভ নেই বরং ক্ষতি!
কিন্তু এই ক্ষতি পোষাতে গিয়ে যা করা হচ্ছে তা ভয়ঙ্কর পরিনতি ডেকে আনতে পারে পুরো পৃথিবীর জন্যেই!
বলা হয়ে থাকে ইউরোপ সভ্য হয়েছে সাহিত্যের মাঝে অবাধ যৌনাচার এর রসাত্মক বর্ননা ঢুকিয়ে! কিন্তু প্রশ্ন হল এটা কিভাবে সম্ভব? আচ্ছা ঠিক আছে এই ঠিকানায় ক্লিক করুন- দেখবেন উইকির রেনেসাঁ পেজ কিন্তু প্রতীক হিসেবে ছবিটা ব্যাবহার করেছে একটা নগ্ন আবক্ষ মূর্তি! আমরা এটা দেখে কি মন্তব্য আমরা করতে পারি?

উপমহাদেশ এই ধরনের সাহিত্যের সাথে ধর্মীয় ভাবেই পরিচিত!
বিশেষ করে হিন্দু ধর্মীয় সাহিত্যে অবাধ যৌনাচারের ব্যাপকতাই অন্যান্য সাহিত্যে এই বিষয়টি নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে! আমরা এক্ষেত্রে রাম-লীলা, মহাভারত, ও অন্যান্য প্রধান ধর্মীয় সাহিত্য গুলো পর্যালোচনা করে দেখতে পারি।
সেই ধারা থেকেই এদেশীয় কিছু সাহিত্যিক গন নিজেদের বাঙ্গালী সংস্কৃতির পুনর্জাগরনের নায়ক বা প্রদর্শক বানিয়ে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে সেই বিষয়টি অনেকটাই বাজে ও অশালীনভাবে নিয়ে আসলেন!

তারা এই অবাধ যৌনাচার বাংলা সাহিত্যের অংগনে ঢুকিছেন তাতে আমি কোন আপত্তি করতে পারিনা!
কিন্তু তারা কি নিজেদের জাতির প্রতি সামান্য দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে সেটি করেছেন? যে জাতির মাঝে তার ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, মা-বাবারাও অন্তর্ভুক্ত!
তারা কি সেই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেছেন, যে ভবিষ্যৎ পাশ্চাত্য সমাজ বা তার অনুকরণ করতে গিয়ে ভারতীয় সমাজ কি ফল ভোগ করছে? এটা খুবই পরিস্কার যে, ভারতীয় সমাজ আজ থেকে ১৫ বছর আগেও পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরন শুরু করেনি বা অনুকরনের মাত্রা সর্বাত্মক ব্যাপকতা লাভ করেনি! যখন থেকে তারা এই কাজটি শুরু করেছে ঠিক তখন থেকে ভারতের কেস হিস্ট্রি অধ্যায়ন শুরু করলে আমার উপরোক্ত দাবীর সত্যতা পাবেন, যে পাশ্চাত্যের নগ্ন সংস্কৃতিই আজ নারীদের প্রতি সহিংসতার মূল কারন!
তারা যদি অবাধ যৌনাচারের সমাজ কামনা করে থেকে সে কাজ করে থাকেন তাহলে আমরা ব্যাক্তিগত ভাবে কোন দোষ দিতে পারিনা কারন তারা যে মতটি লালন করেছেন তারা সেটা করে দেখিয়েছেন,এবং তা অনেক সাধারণ মানুষ গ্রহণ করেছেন!
এর বিপরীতে করতে গেলে আপনার মতটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে, সেই মতটি জনসাধারণের কাছে গ্রহনযোগ্য ভাবে তুলে ধরে তার উপলভ্যতা ও বিপরীতমুখী ধারার অসারতা প্রমাণ করেই তবে সম্ভব!
তবে যারা এ কাজটি করতে পারবেন না তারাই কেবল বোমা মেরে তার কন্ঠ স্তব্ধের চেষ্টা চালাতে পারেন! সেটা গনতন্ত্র নয়,বরং সকল মতকে তার মত চলতে দিয়ে নিজের মতকে প্রচার করাই গনতন্ত্র!

তবে যারা এই অবাধ যৌনাচার বিষটা সাহিত্যের অন্তর্ভুক্তি করেছেন তাদের কাছে ও তাদের যারা সমর্থন করেন তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন তারা কি মিনিটে পাচটি বা সাতান্নটি ধর্ষণের দেশ চান? যে দেশে তার মা বোনকে ধর্ষণ করলেও সেদেশের প্রেসিডেন্ট জবাব দিবেন "ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে না পারলে ধর্ষনকে উপভোগ করার চেষ্টা করা উচিত! "

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.