সিলেট নগরী ছেয়ে গেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণামূলক বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ডে। তবে এসব বিলবোর্ডের বেশির ভাগই অবৈধ। করফাঁকি দিতে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন না নিয়েই এগুলো বসানো হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের এদের সঙ্গে অাঁতাত থাকায় তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। এবার আইসিসি টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপকে সামনে রেখে সিটি করপোরেশন এগুলো উচ্ছেদে নেমেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের স্থানে বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য প্রতি বর্গফুটের বিপরীতে বার্ষিক ৭৫ টাকা করে কর আদায় করা হয়। আর ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় বিলবোর্ডের ক্ষেত্রে এ হার ৫০ টাকা। এই করফাঁকি দিয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো নগরীর যত্রতত্র বিলবোর্ড বসিয়ে ব্যবসা করে আসছে। এগুলোর বেশির ভাগ বসানো হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণভাবে। বিভিন্ন সময় ঝড়ে বিলবোর্ড উপড়ে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র বিলবোর্ড স্থাপন করায় নগরীর সৌন্দর্যহানি ঘটছে। সূত্রমতে, সিলেট নগরীতে বৈধ বিলবোর্ড রয়েছে প্রায় এক হাজার। আর অবৈধ বিলবোর্ডের পরিমাণ পাঁচ হাজারের বেশি। অবৈধ বিলবোর্ডের কারণে প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিটি করপোরেশন।
জানা যায়, সিটি করপোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ও অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব বিলবোর্ড ভাড়া দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করলেও ফাঁকি দেওয়া হয় সিটি করপোরেশনের কর।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আফতাব হোসেন বলেন, মেয়রের নির্দেশে বিশ্বকাপ উপলক্ষে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এই বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, সিলেট নগরীতে অবৈধ বিলবোর্ডের কারণে প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিটি করপোরেশন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।