আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিকিৎসকদের দুই পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে টানা চার ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে কয়েক দফায় এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসকরা ডেন্টাল অনুষদের ডিনের কক্ষ ও রেজিস্ট্রার ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে ভাঙচুর চালিয়েছেন। ঘটনার জের ধরে ডেন্টাল অনুষদ আগামীকাল পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ঘটনার তদন্তে ফিজিক্যাল মেডিসিন অনুষদের অধ্যাপক ডা. মাইনুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি তাদের প্রতিবেদন পেশ করবেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ইয়াকুব জামাল ও সেকশন অফিসার শফিকুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউ'র প্রক্টর অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপন জানান, কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চিকিৎসক ছাত্রদের হলের পরিচালনা কমিটি নিয়ে গত কিছুদিন ধরে জোর লবিং চালাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গ্রুপের চিকিৎসকরা। তবে সম্প্রতি হল প্রভোস্ট ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আলী আজগর মোড়ল সম্প্রতি হল কমিটি ঘোষণা করেন। তবে ওই কমিটিতে ডেন্টাল ইউনিটসহ ডা. ইকবাল আর্সালন গ্রুপের চিকিৎসক ছাত্রদের আধিক্য ছিল। অনেকটাই বঞ্চিত ছিল ডা. আজিজ গ্রুপ। এর জের ধরেই গতকাল বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ডা. আজিজ গ্রুপের চিকিৎসক ছাত্ররা ডা. আলী আজগর মোড়লের কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগী তাদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অনেকেই চিকিৎসা না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ডা. ইকবাল আর্সালন গ্রুপের চিকিৎসক ছাত্ররা ওই ঘটনার জবাব দিতে রেজিস্ট্রার ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ঘটনার প্রতিবাদে বিএসএমএমইউ'র চিকিৎসক ও কর্মচারীরা চিকিৎসা সেবা থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। চরম দুর্ভোগে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বিকাল পাঁচটার দিকে কাজে ফিরে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক জানান, বিএসএমএমইউ'র ওই হলে চিকিৎসক ছাত্রদের থাকার কথা থাকলেও হলের নেতাদের ম্যানেজ করে অনেক বহিরাগত দুর্বৃত্ত দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন। গতকালের হামলায় ও অনেক বহিরাগত সন্ত্রাসী অংশ নিয়েছিলেন। তদন্ত কমিটি চাইলেই সিসি ক্যামেরায় (গোপন ক্যামেরা) ধারণকৃত ফুটেজের সাহায্য নিতে পারেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.