আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্যালারিতে এ কেমন উন্মাদনা

২ মার্চ। জাতীয় পতাকা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো উত্তোলন করা হয়েছিল গর্বের লাল-সবুজ পতাকা। পদদলিত করা হয়েছিল হানাদার পাকিস্তানের চাঁদ-তারা পতাকা। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর সেই ২ মার্চেই ঘৃণিত চাঁদ-তারা পতাকা নিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল পাকিস্তানের বাংলাদেশি সমর্থকরা। গত রবিবার এশিয়া কাপের নাটকীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে পাকিস্তান পরাজিত করার পর এমন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সমর্থকরা। শুধু তাই নয়, তারা মুখে এঁকেছিলেন পাকিস্তানের পতাকা। ম্যাচ চলাকালে তারা পাকিস্তান পাকিস্তান চিৎকারে প্রকম্পিত করেছিল স্টেডিয়াম। মিরপুর স্টেডিয়ামকে মনে হচ্ছিল যেন লাহোর, করাচি, পেশওয়ার কিংবা মুলতানের কোনো স্টেডিয়াম। স্বাধীনতার মাসে এমন পরিস্থিতি ছিল অপ্রত্যাশিত। বাংলাদেশি সমর্থকদের এমন কাণ্ড দেখে অবাক পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিও। তাই তো তিনি ম্যাচ শেষে বলেন, 'এখানে আমাদের এতো সমর্থক! এটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। দারুণ লাগছে আমার। বাংলাদেশি সমর্থকদের ধন্যবাদ।' এই বিষয়টি নিয়ে গতকাল ঝড় উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে সমর্থকদের এই বাড়াবাড়িকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সঙ্গে তুলনা করেও স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, হয়তো স্বাধীনতাবিরোধীরা ইচ্ছা করেই বাংলাদেশের পতাকা দিবসে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। এটা আমাদের লাল-সবুজ পতাকার চরম অবমাননা। তবে শুধু পাকিস্তানি সমর্থকরাই নন, পিছিয়ে ছিলেন না ভারতের সমর্থকরাও। তারাও ভারতের পতাকা হাতে মাঠে এসেছিলেন। অথচ কিছুদিন আগে এই ভারতই আমাদের টেস্ট মর্যাদা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তারপরেও তাদের পতাকা হাতে এমন নাচানাচি! ফেসবুক, টুইটারে অনেকে পাকিস্তান-ভারত সমর্থকদের এমন আচরণের কঠোর সমালোচনা করে অনেকে। এজন্য দায়ী করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.