রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তা রক্ষী খুন হয়েছেন রহস্যজনকভাবে। এটিএম বুথের সামনে শনিবার দিবাগত রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এটিএম বুথের দুই নিরাপত্তা রক্ষী একজন ছিলেন বুথের মধ্যে ঘুমিয়ে। অন্যজন তাকে তালাবদ্ধ রেখে বাইরে ছিলেন। ঘাতকরা বাইরে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীকে খুন করলেও এটিএম বুথে প্রবেশ কিংবা টাকা লুটের কোনো চেষ্টা করেনি। নিহত নিরাপত্তা রক্ষীর পকেটে থাকা চাবির সাহায্যে পুলিশ এটিএম বুথ খুলে ভেতরে থাকা আরেক নিরাপত্তা রক্ষীকে বের করে আনতে সক্ষম হয়। স্পষ্টতই মনে হচ্ছে, এ খুনের সঙ্গে ব্যাংকের টাকা লুটের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তারপরও এ ঘটনায় এটিএম বুথের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটিএম বুথ থেকে নানা কৌশলে গ্রাহকদের অর্থ তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। বুথগুলোতে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় দুর্বৃত্তদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু দিন আগে একটি দৈনিক পত্রিকার বিজ্ঞাপন নির্বাহীর এটিএম কার্ড ছিনতাইকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে নিকুঞ্জ-২ এর ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বুথ থেকে সঞ্চিত সব টাকা উঠিয়ে নেয়। এর সপ্তাহখানেক আগে এক গ্রাহক ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে চার লাখ টাকা উত্তোলন করে বাসায় ফেরার পথে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ক্রেডিট ও এটিএম জালিয়াত চক্রের সদস্যদের তৎপরতাও সাম্প্রতিক সময়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। জালিয়াত চক্রের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের আইটি এঙ্পার্ট কিংবা সিস্টেম এনালিস্টের ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে এটিএম বুথ কিংবা ফাস্ট ট্র্যাকের নিরাপত্তা রক্ষীদের বোকা বানিয়ে ইতোমধ্যে বিপুল অর্থ আত্দসাৎ করতে সক্ষম হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ ইতোমধ্যে জালিয়াত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। মোহাম্মদপুরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে নিরাপত্তা রক্ষীর হত্যাকাণ্ডের জন্য কারা দায়ী এবং কি উদ্দেশ্যে তা ঘটেছে, যথাযথ তদন্তে জানা যেতে পারে। এ ঘটনা এটিএম বুথের নিরাপত্তা সম্পর্কে জনমনে যেমন প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে তেমন আইনশৃঙ্খলার অবনতিশীল অবস্থাকেও পরিস্ফুট করেছে। আমরা মনে করি, জননিরাপত্তার স্বার্থে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। পাশাপাশি এটিএম বুথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে- এমনটিও কাম্য।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।