এফএম ব্যান্ডে প্রচারের জন্য ঠাকুরগাঁও বেতারের শ্রোতা সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এই পরীক্ষামূলক এফএম সম্প্রচার কার্যক্রম চলছে এফএম ৯২ দশমিক শূন্য মেগাহার্জে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। সম্প্রচারিত এই অনুষ্ঠান জেলার তরুণদের কাছে এখন খুবই জনপ্রিয়।
দুই ঘণ্টার এ অনুষ্ঠানটি স্থানীয় শিল্পীদের গাওয়া গান ছাড়াও ব্যান্ড সংগীত, সিনেমার গানের অনুষ্ঠান ও সর্বশেষ জনপ্রিয় গান প্রচার করে থাকে। ফেসবুকে 'এফএম ৯২ দশমিক শূন্য মেগাহার্টজ, বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও' নামে একটি ফ্যান পেইজ তৈরি করেছেন বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক হাসান মো. হাফিজুর রহমান টুটুল। পরীক্ষামূলক সম্প্রচার কার্যক্রম হলেও আগে যেখানে শুধু পুরনো দিনের গান শোনানো হতো সেখানে এখন শ্রোতাদের চাহিদা অনুযায়ী পুরনো ও নতুন সব ধরনের গান শোনানো হয়। শ্রোতারা এখন ইন্টানেটে এসএমএস-এর মাধ্যমে এবং আমাদের ফেসবুকে ফ্যান পেইজের মাধ্যমে তাদের পছন্দের গানের কথা আমাদের জানাতে পারেন। ঠাকুরগাঁও বেতারের কয়েকজন শিল্পী অভিযোগ করে বলেন, এখানকার সম্প্রচার বিভাগের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। শিল্পীরা ভালোভাবে গান-নাটক পরিবেশন করতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার শিল্পীদের দাবি ছিল ঠাকুরগাঁও শহরে একটি ব্রডকাস্টিং রুমের ব্যবস্থা করা। কিন্তু অনেক আন্দোলনের পরও এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। শিল্পীদের যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য কোনো ফি দেওয়া হয় না। তাই অনেকে নিয়মিত বেতারে আসতে পারেন না। বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক পরিচালক শ্যামল কুমার দাস বলেন, 'বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁও অত্র এলাকার মানুষের জন্য বিনোদনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক তথ্য প্রচার করে আসছে। ইতোমধ্যে বিবিসির সঙ্গে বাংলাদেশ বেতারের একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, স্যাটেলাইট ডিশ অ্যান্টেনা ও রিসিভার বসানোর পর দৈনিক চারটি স্লটে বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁওয়ের এফএম ৯২.০ মেগাহার্টজে বিবিসির বাংলা সংবাদ শোনা যাবে।' ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক পরিচালক আরও বলেন, শিল্পীদের ভালোভাবে গান ও নাটক পরিবেশনের জন্য শহরে একটি ঊধর্্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্রডকাস্টিং রুমের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া সার্বিক সহযোগিতার জন্য আবেদন করা হবে।
-মো. আবদুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।