নীলফামারী সংলগ্ন তিস্তা নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় প্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়ছে তিস্তার মূল ক্যানেলসহ শাখা-প্রশাখা। ফলে সেচের পানি না পাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমির বোরো। আর এতে চরম বিপাকে পড়েছেন তিস্তার পানিনির্ভর প্রায় ২০ হাজার কৃষক। সরেজমিন দেখা গেছে, পানির অভাবে বোরো চাষের জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সুবজ ধান গাছগুলো ধারণ করেছে লালছে রং। একই চিত্র চোখে পড়ে ডিমলা ও জলঢাকার পুন্নতিঝাড়, বাঘেরপুল, তুহিন বাজার, সাদজান, ভাটিয়ার চৌপতি, দুন্দি বাড়িসহ কয়েকটি গ্রামের বোরো জমিতে। তিস্তার মূল উৎস থেকে পানি না আসায় এ সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। পুন্নতিঝাড় গ্রামের কৃষক ইউনুস আলী বলেন, 'পানির অভাবে বোরো ক্ষেত নষ্টের পথে। আর তিস্তার পানি ছাড়া বিকল্প সেচের ব্যবস্থা না থাকায় আছি চরম বিপদে।' ভুক্তভোগী আরেক কৃষক সাইদুল ইসলাম জানান, মৌসুমের প্রায় এক মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে টাকা পরিশোধ করেও পানি পাচ্ছি না। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বার বার জানালেও তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মইন উদ্দিন মণ্ডল জানান, মূল তিস্তায় পানি না থাকায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে রোটেশনের মাধ্যমে কৃষকদের পানি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানেরও তাগিদ দেন তিনি। জানা গেছে, ডিমলা ও জলঢাকার প্রায় ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির বোরো চাষ তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। আর তিস্তার মূল ক্যানেলের চারটি গেট এস ফোর টি, এস থ্রি টি, আর ওয়ান টি ও আর টি টু দিয়ে সরবরাহ করা হয় এ পানি। এ জন্য চারটি কৃষক সমিতির কাছ থেকে সেচ মৌসুম শুরুর প্রায় এক মাস আগেই বিঘাপ্রতি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা হারে সংগ্রহ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু বোরোর ভরা মৌসুমে পানি না পাওয়ায় অনেকটাই দিশাহারা এ জেলার কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, পানির প্রবেশ বাঁধ আর টি ওয়ান ও নির্গমন বাঁধ আর টি টু-তে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।