তিন বছর থেমে থাকার পর ফের যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠক বুধবার শেষ হয়েছে বলে উভয় পক্ষই নিশ্চিত করেছে।
আলোচনায় ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন সায়েব এরেকাত এবং ফাতাহর কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাতাইয়্যেহ। অন্যদিকে ইসরায়েলের পক্ষে দেশটির বিচারমন্ত্রী জিপি লিভনি এবং প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী আইজেক মলকো প্রতিনিধিত্ব করেন।
ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই বৈঠককে 'দীর্ঘ এবং গুরুত্বপূর্ণ' বলে অভিহিত করেছেন। তবে এ সম্পর্কিত কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। শান্তি আলোচনা শুরুর চুক্তি হিসেবে ফিলিস্তিনের ২৬ বন্দীকে ইসরায়েল মুক্তি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি আলোচনার কিছু কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা গেলেও স্থান, সময় এবং ঠিক কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে উভয় পক্ষই কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করেছে। কোনো অগ্রগতি ছাড়া আলোচনার বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন তারা। একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে জেরুজালেম এবং পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে পর্যায়ক্রমে বৈঠক চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। তবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত থাকায় শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েই গেছে। এ বসতি স্থাপনকে কেন্দ্র করেই ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে চলমান সরাসরি শান্তি আলোচনা ভেঙে যায়। সম্প্রতি ইসরায়েল আরও দুই হাজার ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) কর্মকর্তা ইয়াসির আবিদ রাব্বো বলেন, বসতি স্থাপন শান্তি আলোচনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ভয়েস অব প্যালেস্টাইন রেডিওকে তিনি বলেন, ইসরায়েলের আচরণের কারণে শান্তি আলোচনা অবশ্যই যে কোনো সময় ভেঙে যাবে। বুধবার সংবাদপত্র জেরুজালেম পোস্টে এই আলোচনার সাফল্য সম্পর্কে 'খুব কম' আশাবাদী বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এর আগে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনা নতুন করে শুরুর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা চুক্তির আওতায় ২৬ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। বুধবার প্রথম প্রহরেই ইসরায়েল এসব বন্দীকে মুক্তি দেয়। আলোচনার শর্তানুযায়ী, যে ১০৪ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা তারই প্রথম ধাপে মুক্তি পেয়েছে ২৬ জন। বিবিসি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।