প্রায় দেড় হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীর পরীক্ষা নেওয়ার পরিবর্তে সপ্তাহে মাত্র ১৫০ জনের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ছাড়া লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে আরও কিছু কড়াকড়ি আরোপ করেছে সড়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ঢাকা জেলায় প্রতি সপ্তাহে একটি বোর্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১৫০ জনের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য সম্প্রতি ইকুরিয়া বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে লাইসেন্স প্রত্যাশীদের চাপে বেসামাল ইকুরিয়া বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। সূত্র জানায়, প্রতি সপ্তাহের রবি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫টি বোর্ডের মাধ্যমে গড়ে প্রায় দেড় হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। এর মধ্যে ঢাকা জেলার অধিবাসীদের জন্য দুটি বোর্ডের মাধ্যমে ৪ শতাধিক পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারত। কিন্তু বিআরটিএর ওই সিদ্ধান্তে চালকদের বৈধ উপায়ে লাইসেন্স পেতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন লাইসেন্স প্রত্যাশী নবীন চালকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিএর এক পরিদর্শক জানান, সপ্তাহে প্রায় দেড় হাজার লোকের পরীক্ষা নেওয়ার পরও লাইসেন্স প্রত্যাশীদের ভিড় থাকত। এখন তো ১৫০ জন লোকের বেশি পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। আর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে লাইসেন্স প্রত্যাশীদের ভিড় আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পক্ষান্তরে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এটিকে বিআরটিএর হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন লাইসেন্স প্রার্থীরা। ইকুরিয়া বিআরটিএর লাইসেন্স পরিদর্শক ইকবাল আহমেদ বলেন, ভিড় থাকলেও আমাদের কিছু করার নেই। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ১৫০ এর বেশি লোকের পরীক্ষা নিতে পারছি না। ইকুরিয়া বিআরটিএর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মহসিন হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এতে গ্রাহকদের ভোগান্তি বাড়লেও কিছু করার নেই। আমরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করছি। বিআরটিএর একজন ঊধর্্বতন কর্মকর্তা জানান, লাইসেন্স প্রত্যাশীদের অনেকেই কোনো রকম পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষায় পাস করে লাইসেন্স পেয়ে যেত। এ ছাড়া প্রতিটি জেলায় বিআরটিএর কার্যালয় থেকে লাইসেন্স না নিয়ে ইকুরিয়া বিআরটিএ কার্যালয়ে ভিড় করার অভিযোগ রয়েছে। ফলে সবার পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও যাচাই-বাছাই করে সঠিক লোকদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে যাতে লাইসেন্স দেওয়া যায় সে জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিআরটিএর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের একক সিদ্ধান্ত বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।