টানা অবরোধের অজুহাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইউরিয়াসহ অন্যান্য সার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে চলতি রবিশস্য মৌসুমে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ইউরিয়া সারের প্রতি বস্তার মূল্য ৮০০ টাকা হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করছেন। একইভাবে ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি), ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি)-এর দামও বস্তাপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যেই মাঠপর্যায়ে মনিটরিং শুরু করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৫০ হেক্টর ও গমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৩২৫ হেক্টর। অন্য ফসলের চেয়ে গম ও আলু মৌসুমে কৃষকদের সারের চাহিদা বেশি থাকে। গত নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জেলায় আলু রোপণের কাজ। সার ব্যবসায়ী মাইনউদ্দিন জানান, অবরোধের কারণে সারের এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। শুধু ইউরিয়া নয় টিএসপি, এমওপি এবং ডিএপি সারও বস্তাপ্রতি একশ থেকে দেড়শ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। ডিলার শরিফুল ইসলাম বলেন, গুদাম থেকে সরবরাহ করা মোটা দানার জমাট বাঁধা সার নিয়ে আমরা বেকায়দায় পড়েছি। রোপণের জন্য কৃষকরা এ সার নিলেও আলু বাঁধার কাজে তারা এ সার নিতে চাচ্ছেন না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।