আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদের গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠানমালার আয়োজক কমিটিতে রাখা হয়েছে আলোচিত দুটি হত্যা মামলার দুই আসামিকে। বাদ নেই মাদকাসক্ত ও বখাটেরাও। উপদেষ্টা কমিটিতে প্রটোকল অনুযায়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকেও অবমাননা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আলোচনা সভার কার্যবিবরণীতে রয়েছে বানানের ভুলের ছড়াছড়ি। শহীদ জব্বারের গ্রামের নাম জব্বারনগরের পূর্বের পাঁচুয়া লেখা হয়েছে ইউএনও রেজাউল বারী স্বাক্ষরিত আলেচনা সভার কার্যবিবরণীতে। অথচ দীর্ঘদিন পূর্বে গ্রামের নাম জব্বারনগর হিসেবে সরকারি গেজেট হলেও ইউএনও'র রেজাউল বারীর এ রকম ভুলের ঘটনায় তোলপাড় দেখা দিয়েছে ভাষা শহীদের জম্মস্থান ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ের জব্বারনগরে। এ ঘটনায় গতকাল গফরগাঁও প্রেসক্লাবে সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন বিপ্লবের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় উপজেলা প্রশাসনের এ রকম খামখেয়ালির বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। জানা যায়, ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের গ্রাম জব্বারনগরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠানমালা সম্পন্ন করতে সেচ্ছাসেবক উপ-কমিটিতে স্থানীয় মুনসুর হত্যা মামলার হাজতখাটা আসামি মো. আরিফকে রাখা হয়েছে। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে পুষ্পস্তবক উপ-কমিটিতে আরেক হত্যা মামলার আসামিকেও সম্মানীত ব্যক্তি হিসেবে রাখা হয়। সেচ্ছাসেবক কমিটিতে কয়েকজন মাদকাসক্ত ও বখাটেদের রাখা হয়েছে। সেচ্ছাসেবক উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো. আতাহার আলী খোকা জানান, এ বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। এ ব্যাপারে অনুষ্ঠানমালার উদযাপন কমিটির সভাপতি ইউএনও মো. রেজাউল বারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকি মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল জানান, বিষয়টি তিনি দেখবেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।