ঘরোয়া ফুটবলে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডানের অসংখ্য রেকর্ড রয়েছে যা ভাঙাটা কঠিনই বলা যায়। এর মধ্যে এক রেকর্ড হয়তো অনেকেরই জানা নেই। আসলে ফুটবলে যে রুগ্ন দশা সেক্ষেত্রে রেকর্ডের কথা মনে না থাকারই কথা। আজ পেশাদার লিগে মোহামেডান নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে। যদি মোহামেডান হেরে যায় তাহলে স্বাধীনতার পর ঘরোয়া ফুটবলে ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটবে। কেননা ১৯৭০ সালে নবাগত ওয়াপদা ছাড়া উদ্বোধনী ম্যাচে সাদা-কালোদের হারের রেকর্ড নেই। অবশ্য ১৯৭৭ সালে উদ্বোধনী ম্যাচে সাধারণ বীমার বিপক্ষে মোহামেডান ০-১ গোলে পিছিয়ে থাকলেও বৃষ্টিতে তা পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে পুনরায় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলে মোহামেডান ২-০ গোলে জিতে যায়। অর্থাৎ আজ মুক্তিযোদ্ধা জিতে গেলে উদ্বোধনী ম্যাচে মোহামেডানের অপরাজয়ের রেকর্ডটা ভেঙে যাবে।
শেখ রাসেল, শেখ জামাল, আবাহনী জয় দিয়েই লিগ শুরু করেছে। মোহামেডান একইভাবে শুরু করতে পারবে কিনা তা দেখার বিষয়। শক্তির তুলনা করলে সাদা-কালোদের ফেবারিট বলা যায়। অনেকদিন পর তারা শক্তিশালী দল গড়েছে। জাহিদ হোসেন এমিলি, জাহিদ হাসান, আরিফুল, নাহিদ, ওয়াজেদ ছাড়াও বেশ ক'জন নির্ভরযোগ্য তারকা রয়েছেন। সে হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা তারকাশূন্য। সুনাম অনুযায়ী খেলতে পারলে সহজ জয় নিয়েই মোহামেডানের মাঠ ছাড়ার কথা। কোচ হিসেবে পর্তুগালের ক্যাপালোকে উড়িয়ে আনা হয়েছে। যদিও প্রশিক্ষণ মাঠে শিষ্যদের দুই দিন পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন। তারপরও সমর্থকরা চেয়ে থাকবেন ফিগোর বন্ধু আসার পর দলের সূচনাটা কেমন হয়। শক্তির বিচারে মুক্তিযোদ্ধা পিছিয়ে। কিন্তু ফেডারেশন কাপে মানিকের প্রশিক্ষণ দেওয়া দলটি যে নৈপুণ্য দেখিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। মোহামেডান কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেই বিদায় নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা রানার্সআপ হয়ে মাঠ ছেড়েছে। ফাইনাল কাগজে-কলমে সেরা দল শেখ জামালের বিপক্ষে ভালো খেলেও দুর্ভাগ্যক্রমে হারতে হয়েছে। কোচ মানিক বলেছেন, ফেডারেশন কাপে স্পিরিট ধরে রাখতে পারলে লিগে অবশ্যই সাফল্য পাওয়া সম্ভব। সত্যি বলতে কি প্রথম ম্যাচেই মোহামেডান কঠিন পরীক্ষায় সম্মুখীন হচ্ছে। আজ জিততে পারলে শুরুতেই বড় একটা বাধা অতিক্রম করবে তারা। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা জিতলে সামনে ম্যাচের জন্য অনুপ্রেরণা পাবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।