কাছের মানুষদের বিয়ে করতে দেখে মনে বিয়ে করার বড়ই স্বাদ জাগে। আহা আহা কি সুখেই না আছে তারা। কৌ্তুহল বশত এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম। বন্ধু আমার মুচকি হেসে বলল এই পাড়েতে আছি দুখে ঐ পাড়েতে আছ তুমি সুখে। মানে কি জিজ্ঞেস করলে বন্ধু আমার আবার ও হেসে বলে বিয়েটা সেরেই ফেল।
হাহ বিয়ে ত আর হাতের মোয়া না যে চাইলাম আর পেয়ে গেলাম। মাথার উপর যেখানে বিবাহযোগ্য ভাই আছে সেখানে এখন বিয়ের কথা কল্পনা করাও পাপ। তাই আগে এই কার্য সাধনে নেমে পড়লাম। কিন্তু এই ব্যপারে মা বাবার কচ্ছপের মত মন্থর গতি দেখে আমি যারপরানই বিরক্ত এবং অবাক। কিছু বললেই উত্তর এরকম ,মেয়ে ত দেখছি ভাল মেয়ে না পেলে কি করব।
তার চেয়েও ভয়ংকর লাগে যখন বলে কপালে যখন লিখা আছে তখন বিয়ে হবে ক্ষণ। নানারকম ঘটক খোজা শুরু হল। এদের কেউ কেউ বীমা কোম্পানীতে চাকরি করে। মেয়ে খুজে দিতে না পারলেও তারা তাদের কার্য ঠিকই সিদ্ধি করেছে। কয়েকটা বীমা আমাদের কাছ থেকে করিয়ে নিয়েছে।
আর কিছু ঘটককে পাত্রীর কথা জিজ্ঞেস করলে বলে কয়েকটা আলাপ আছে হাতে কিন্তু কিছু সমস্যা আছে। যেমন একটা মেয়ে আছে কিন্তু তার আবার বড় বোন আছে,আরে গাধা বড় বোন আছে ত ছোট টার বিয়ের আলাপ কিভাবে সম্ভব। আরেকটা আছে কিন্তু তার বাবা ব্যাংকারের কাছে বিয়ে দিবে না কারন তার বড় মেয়ের জামাইও ব্যাংকার। (বলে রাখি আমার বড় ভাই ব্যাংকে চাকরি করেন। )আরেজন আছে ঐ মেয়ের সমস্যা হল তার নানি পালিয়ে গিয়ে অন্য এক পুরুষকে বিয়ে করে ফেলেছিল।
আরেকজনের কথা শুনে ত ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল। কি কারণে সে নাকি তার বাবার উপর রাগ করে বাবাকে চড় মেরে বসছিল। কারও আবার মায়ের মাথায় নাকি সমস্যা!!এমতাবস্থায় ঘটকরা নিজের ভাতিজি ভাগ্নি ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগল। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে বড় ভাইএর বিয়ের ফুল ফুটিবে কবে?? আর আমার জন্য এই চিন্তা ত আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।