স্মৃতির খেরোখাতা খুলে দেখো, হয়তো পাবে আমায়। ২৬/১১-র জঙ্গি হানা চলছে তখন। নরিম্যান হাউসে পণবন্দি শিশু-নারী-সহ বহু মানুষ। এই সময় করাচির কন্ট্রোল রুম থেকে এক জঙ্গির কাছে এল ফোনটা। নির্দেশ এল, মাথার পিছনে গুলি করে খতম কর ‘বন্দিদের’।
মুম্বই হামলা চলাকালীন করাচির ডেরা থেকে লাগাতার এমন নির্দেশ দিয়েছিল যে, সেই লস্কর ই তইবা-র জঙ্গি সৈয়দ জাবিউদ্দিন ওরফে আবু হামজা ওরফে আবু জিন্দলকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
আজ দিল্লি পুলিশের তরফে এ খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, সৌদি আরব থেকে আসার পথে ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবশ্য একটি সূত্রের দাবি, সৌদি আরব তাকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু সরকারি ভাবে বলা হচ্ছে, গত ২১ জুন সৌদি আরব থেকে বিমানে দিল্লি পৌঁছনোর পরেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ইন্টারপোল তাদের সাহায্য করেছে।
আরেক ধৃত জঙ্গি কাসভকে জেরা করেই জানা যায়, হামলার প্রস্তুতির সময় জঙ্গিদের হিন্দিতে কথা বলতে শিখিয়েছিল হামজা। জাকিউর রহমান লকভি ও হামজা করাচির বন্দর থেকে কাসভদের মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দিয়েছিল। হামলা চলাকালীন করাচির কন্ট্রোল রুমে বসে জাকিউর রহমান লকভি, মেজর সামির আলি, মেজর ইকবাল ও মুজাম্মিল ভাটের পাশাপাশি হামজাও জঙ্গিদের সঙ্গে আগাগোড়া যোগাযোগ রেখেছিল।
কিন্তু তদন্তের প্রথম দিকে বোঝাই যায়নি, এই হামজা আদতে ভারতীয়। জঙ্গিদের সঙ্গে হামজার কথোপকথনের টেপ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়েই গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয় মুম্বই হামলার পিছনে ‘ভারতীয় যোগ’ নিয়ে।
কারণ কথা বলতে গিয়ে হামজা এমন কয়েকটি শব্দ বলেছিল, যে গুলি খাঁটি ভারতীয়! ‘উদাহরণ’, ‘প্রশাসন’, ‘যুবকে’র মতো শব্দগুলিই তার ভারতীয় যোগ নিশ্চিত করে।
কী ভাবে হামজার হদিশ মিলল? হামজাকে ধরতে তার বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিস’ জারি করে ইন্টারপোল। মুম্বই হামলার পরে কিছু দিন পাকিস্তানে ছিল হামজা। পরে সৌদি আরবে চলে যায় সে। জামা মসজিদ বিস্ফোরণে ধৃত এক জঙ্গিই প্রথম সৌদি আরবে হামজার উপস্থিতির কথা জানায়।
তখন থেকেই তার উপর নজরদারি শুরু করেন গোয়েন্দারা।
copy/paste from আনন্দবাজার পত্রিকা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।