নিজের জন্য লেখি, নিজের কথা লেখি। দিল্লির লৌহস্তম্ভ একটি ৭ মিটার (২২ ফুট) উঁচু লোহার খুঁটি, যা কুতুব মিনার চত্বরে অবস্থিত। ১৬০০ বছরের পুরানো এই লোহার খুঁটি নির্মাণে ধাতুর ব্যবহার আজও বিস্ময়কর।
স্তম্ভটির ওজন ৬ টনের কিছু বেশি। এটি দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে (৩৭৫-৪১৩ খ্রিস্টাব্দ) নির্মিত।
অন্য মতে, ৯১২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নির্মিত। লৌহস্তম্ভটি অতীতে সাতাশটি জৈন মন্দির নিয়ে গঠিত একটি চত্বরের কেন্দ্রে অবস্থিত ছিল। কুতুবুদ্দিন আইবক মন্দিরগুলি ভেঙে তার মালমশলা দিয়ে উক্ত চত্বরে কুয়াত-উল-ইসলাম মসজিদ ও কুতুব মিনার নির্মাণ করেন।
পুরাতাত্ত্বিক ও ধাতুবিদ্যা বিশারদেরা দিল্লির লৌহস্তম্ভকে "প্রাচীন ভারতের ধাতুবিদ্যার উন্নতির একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন" মনে করেন। কারণ এই লৌহস্তম্ভের মরচে প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি।
সাধারনত লোহা খোলা রাখলে মরচে পরে নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু দিল্লির লৌহ খুঁটিতে আয়রন, অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের একটি যৌগের পাতলা স্তর ঢালাই লোহার থামকে মরচে পরা থেকে রক্ষা করেছে। প্রাচীন ভারতের বিশেষ ধাতুবিদ্যার কারনে তারা লোহাকে ইস্পাতে পরিণত করতে জানতো। একটি রিপোর্ট অনুসারে পিলারটির লোহায় উচ্চ মাত্রায়(১%) ফসফরাসের কারনে এই প্রতিরক্ষামূলক ফিল্মটি তৈরি হতে পেরেছে। বর্তমানে লোহায় ০.০৫% এরও কম ফসফরাস রাখা হয়।
আস্তরটি তৈরি হতে তিন বছর লেগেছিল, ধীরে ধীরে আরও পুরু হয়েছে। ১৬০০ বছরে এই আস্তর একটি মিলিমিটারের বিশ ভাগের ১ ভাগ পুরু হয়েছে। খুঁটিটির মোট উচ্চতা ২৩ ফিট ৮ ইঞ্চি (7.21 মিটার), আর মাটির নিচে আছে ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি (1.12 মিটার)। খুঁটির সর্বনিম্নে ব্যাস হল ১৬.৪ ইঞ্চি আর শির্শে ব্যাস ১২.০৫ ইঞ্চি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।