আমার কোনো ঘর নাই আছে শুধু ঘরেরদিকে যাওয়া ...। May Allah bless you with Barakat, Magfirat and Najat during the Holy Ramadan
আপনি কি দিল্লি কা লাড্ডু খেয়েছেন? মানে আমি বিয়ের কথা বলছি আর কী। দিল্লি কা লাড্ডু খেলেও নাকি পস্তায়, না খেলেও নাকি পস্তায়। অনেকে লাড্ডুটা না খেয়ে পস্তানোতে বিশ্বাসী। আমি ভাই লাড্ডুটা এখনও না খেয়েই আছি।
তবে যারা লাড্ডু খেয়ে পস্তাচ্ছেন, তাদের দেখলে মনে হয় লাড্ডুটা না খাওয়াই উত্তম। একটা কৌতুক বলি : বিবাহিত পুরুষ আর অবিবাহিত পুরুষের মধ্যে কাথা হচ্ছে -
অবিবাহিত পুরুষ : তা দাদা বিয়ে তো করেছেন। কেমন লাগছে?
প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ করে রইলেন। বাধ্য হয়েই আবারও একই প্রশ্ন করলেন অবিবাহিত পুরুষটি। এবার একটু ক্ষেপেই গেলেন বিবাহিত পুরুষ।
বললেন, লাড্ডুটা খেলেই বুঝতে পারবেন কেমন লাগে! বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন অবিবাহিত পুরুষটি। এবার প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্যই বিয়ে করে ফেলল অবিবাহিত পুরুষটি। কিছুদিন পর বিবাহিত লোকের সঙ্গে দেখা সদ্য বিবাহিত পুরুষটির। দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সদ্য বিবাহিত পুরুষটির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলন, দিল্লি কা লাড্ডু তো খেলেন, তা কেমন লাগছে? এবার বেশ মিনমিনিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিল সদ্য বিবাহিত পুরুষটি- আপনার যেমন লাগছে!
প্লিজ, বিবাহিত পুরুষদের অনুরোধ করছি, আমার এই লেখাটি পড়ে মনে কিছু করবেন না। আর কিছু মনে করলেই বা কি হবে বলেন।
আমি তো আর মিথ্যা বলছি না, তাই না? বিবাহি পুরুষদের সংসারের যাবতীয় বাজার করতে হয় বলে সমস্যাই বৈকি। আর স্ত্রীর মেকআপ খরচ জোগাতেই বেতনের ১৬ আনার ১২ আনাই গায়েব। বাকি চার আনা দিয়ে কি আর মাস পার করা যায়? বলতে বলতে আরেকটা কৌতুম মনে পড়ে গেল -
এক ভদ্রলোক বাজারে গিয়ে কোনো কিছু না কিনে শুধু ব্যাগ ভর্তি শসা কিনেছেন। শসা দেখে আরেক ভদ্রলোক অবাক! বললেন, আজকের খাবারে কি শুধু শসাই থাকবে? প্রশ্নের উত্তরে লোকটি দীর্ঘম্বাস ফেলে বলল, না ভাই, আজকে আমার উনি মেকআপ করবেন! বাজারদরের যে অবস্থা, তাতে শসা কেনাই কষ্টসাধ্য। তার উপর যদি অলতা, স্নো যোগ হলেতো আর কথাই নেই, অবস্থা রফারফা।
নাসিরুদ্দিন হোজ্জার একটি কৌতুক দিয়ে লেখাটা শেষ করছি। একদিন নাসিরুদ্দিন হোজ্জা বিশাল সাইজের একটা ইলিশ কিনে দৌড়াচ্ছেন। তা দেখে একজন পথচারী জিজ্ঞেস করলেন- কি গো হোজ্জা, মাছ নিয়ে দৌড়াচ্ছো কেন? উত্তরে হোজ্জা বলল, আর বলো না ভাই। ইলিশ খাওয়ার শখ ছিল। বাড়িতে বউ পক্ষের আত্মীয় এসেছে।
আত্মীয়কে আপ্যায়নও করা হবে। পরদিন সকালে আবারও হোজ্জার সঙ্গে লোকটার দেখা। লোকটা বলল, হোজ্জা, ইলিশ কেমন খেলে? হোজ্জা উত্তরে বলল- আমি তো আর স্বাদ বুঝিনা তাই খাইনি! সবটাই তো খেয়ে ফেলল বউয়ের আত্মীয়রা। কিছু উপলক্ষ নিয়ে যে বিবাহিত পুরুষরা ভালো খাবার খাবেন মাঝে মাঝে, সেটারও উপায় থাকে না। মাঝে মাঝে যে বউ পক্ষের আত্মীয়ের আগমন ঘটে।
ধন্যবাদ সকল বিবাহিত পুরুষদেরকে। ধর্য্যের সাথে বউয়ের সকল আচরন মেনে নেয়ার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।