আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামে বেপরোয়া বাসকে ট্রেনের ধাক্কা, 

চট্টগ্রামে ট্রেন আসতে দেখেও বেপরোয়াভাবে রেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় মিনি বাসের চার নারী পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- ইয়াসমিন আক্তার (২২), রিয়া আক্তার (২০), জুলি আক্তার (৩০) ও সুইটি আক্তার (২০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল সকাল ৮টায় নগরের চান্দগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে মিনিবাসের চালক দিদারুল আলমকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিভাগীয় ও উচ্চ পর্যায়ের দুটি কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা জানালি হাট স্টেশন মাস্টার নেজাম উদ্দিন ও পয়েন্সম্যান টিটু কান্তি পালকে। তাছাড়া সংঘর্ষের ঘটনার পর কালুরঘাট শিল্প এলাকার পোশাক কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টায় দোহাজারী থেকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়ে। সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি জানালি হাট স্টেশন সংলগ্ন ক্রসিংয়ে আসে। এ সময় ট্রেন আসতে দেখেও মিনিবাস চালক দ্রুত ওই ক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করে। রেল লাইনের ওপর উঠতেই মিনিবাসের সামনের ডান দিকে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় ছিটকে পরে। এতে ঘটনাস্থলেই চার নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। জানা গেছে, বাসটি সিঅ্যান্ডবি এলাকা থেকে কালুরঘাট শিল্প এলাকার বেইজ টেঙ্টাইল কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে যাচ্ছিল। বাসে নারী-পুরষ মিলে ২৫ জন যাত্রী ছিলেন। আহত নমিতা বলেন, আগে থেকে চালক খুব দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছিল। আর ক্রসিংয়ের সামনে ট্রেন আসতে দেখলে চালককে আমরা ক্রসিং পার হতে নিষেধ করি। কিন্তু সে না থেমে রেল লাইনে উঠে পড়ে। লাইনে ওঠার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে মিনিবাসের পেছনের কাচ ভেঙে যাত্রীদের বের করে আনেন। সংঘর্ষের আগ মুহূর্তে মিনিবাস চালক জানালা দিয়ে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশে দেন।

সন্দ্বীপে পুলিশ-সন্ত্রাসী গুলিবিনিময় আটক ২ : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা সদরের কলেজ গেট এলাকায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি গুলিবিনিময়কালে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মোশাররফ বাহিনীর সদস্য মামুন ও দিদারকে আটক করলেও সন্ত্রাসী মোশাররফ পালিয়ে যায়। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশের সন্দ্বীপ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সালাহউদ্দিন সিকদার বলেন, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মোশাররফ ও তার বাহিনীর সদস্যদের ধরতে পুলিশ দুপুরে কলেজ বাজারে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পাশের গ্রামে আশ্রয় নেয়। পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষে প্রায় ২০ মিনিট গুলিবিনিময় হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.