রংপুরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা। চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। তাদের হাত থেকে রেহাই পাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী। ৭ মাসে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীর হাতে আহত হয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষক ও ১২ শিক্ষার্থী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও রংপুর মেডিকেলের ১০ ছাত্রী ও ইন্টার্নি চিকিৎসক। চাঁদা না দেওয়ায় লাঞ্ছিত হয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এসব অপরাধে ১৩ নেতার নামে মামলা হলেও তারা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। দল থেকেও তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জানা গেছে, ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরের পীরগঞ্জে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে নেতা-কর্মীদের যাতায়াতের টাকা সংগ্রহের নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে লাঞ্ছিতসহ তার কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়ার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলের নেতৃত্বে একদল নেতা-কর্মী। এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সংবাদ প্রকাশ করায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদককে হত্যার হুমকি দেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি সফিয়ার রহমান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।