মিরপুরের অসহায় আত্মসমর্পণ। ফল ইনিংস ও ২৪৮ রানে হার। সেই ধাক্কা সামলে উঠা যেখানে কঠিন, অথচ সেই কঠিন কাজটাই করেছেন মুশফিকবাহিনী চট্টগ্রামে। পয়মন্ত ভেন্যু চট্টগ্রামে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সমানে সমানে লড়াই করে ড্র করে বাংলাদেশ। টাইগার অধিনায়ক মুশফিকের কাছে টেস্টটিকে মনে হয়েছে আধিপত্য বিস্তার করে ড্র করা। এজন্য অবশ্য কৃতিত্ব দিয়েছেন ব্যাটসম্যানদের।
দলগত সাফল্যের বিচারে চট্টগ্রাম টেস্ট অনেক বড় প্রাপ্তি বাংলাদেশের জন্য। তেমনি ব্যক্তিগত হিসেবে কুমারা সাঙ্গাকারার জন্যও অন্যকিছু। ট্রিপল সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি করে নাম লিখেছেন গ্রাহাম গুচের পাশে। টেস্টটিকে সাঙ্গাকারার বললেও কম হবে না। আবার শামসুর রহমান শুভ, ইমরুল কায়েশ ও মুমিনুল হক সৌরভের জন্যও কম নয়। সেঞ্চুরি করেছেন তিনজনই। প্রথম ইনিংসে লঙ্কার পাহাড়সম সেঞ্চুরির বিপক্ষে ইমরুল ও শামসুর সেঞ্চুরি করেন। ৪৬৬ রানের পিছনে খেলতে ম্যাচ বাঁচাতে সেঞ্চুরি করেন মুমিনুল। তাই সমানে সমানে লড়াই করে ম্যাচ বাঁচানোই দেখছেন টাইগার অধিনায়ক, 'এই ড্র হয়তো জয়ের সমান নয়। তবে আমরা সমানে সমানে লড়াই করেই ড্র করেছি। তামিম-শামসুর ভালো ব্যাটিং করেছেন। মুমিনুল ভালো খেলেছেন। সবাই তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে সবাই ভালো ব্যাটিং করেছে।'
আগের দিন বিনা উইকেটে ১২ রান নিয়ে খেলতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও শামসুর রহমান কাল যোগ করেন আরও ৫৯ রান। দলীয় ৭১ রানে তামিম এবং ৮১ রানে সাজঘরে ফিরেন শামসুর। প্রথম সেসনে দুই ওপেনারের বিদায়ে একটু চাপেই পড়ে গিয়েছিল দল, স্বীকার করেন টাইগার অধিনায়ক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।