মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের নিখোঁজ বিমানটিকে পরিকল্পিতভাবে কেউ ভারত মহাসাগরের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে থাকতে পারে। বিমানটির যোগাযোগব্যবস্থা ইচ্ছা করেই অচল করে রাখা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তিনি একই সঙ্গে ইঙ্গিত করেন বিমানটি কেউ ছিনতাইয়ের জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে। বিমান গায়েব হয়ে যাওয়ার আট দিন পর দেশটির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ধরনের তথ্য জানানো হলো। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নাজিব বলেন, কৃত্রিম উপগ্রহ ও রাডার থেকে সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণে দেখা গেছে, কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরও এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইটটি আরও চার-পাঁচ ঘণ্টা আকাশে উড়েছিল। এর ফলে বোঝা যায়, বিমানের ভেতর থেকে পাইলট বা অন্য কেউ এ কাজটি করেছিল। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্যের পর দেশটির পুলিশ বিমানটির চালক জাহারি আহমদ শাহের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। তার পরিবারের লোকজনকে সর্বশেষ তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। উল্লেখ্য, তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসে যোগদান করেন। এ ৩৩ বছরের পাইলট জীবনে তিনি ১৮ হাজার ৩৬৫ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনা করেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, বিমান চালনা ও রাডার অবস্থান সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রয়েছে এমন কেউ এটি করে থাকতে পারে। এক সপ্তাহ আগে ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে ফ্লাইট-৩৭০ নিখোঁজ হয়। কারও নির্দেশে নির্ধারিত পথ থেকে বিমানটি সরিয়ে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এ মন্তব্যের ফলে এমন সন্দেহ আরও জোরাল হলো। দেশটির একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেন, এয়ার-ট্যারিফ কন্ট্রোল স্ক্রিন ও বেসামরিক রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়ার পরও সামরিক রাডার বেশ কয়েক ঘণ্টা বিমানটির গতিপথের ছক তৈরি অব্যাহত রাখে। তিনি আরও বলেন, সামরিক রাডার থেকে সংগৃহীত এখনো অপ্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এমন ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে নিখোঁজ হওয়া বিমানটির অনুসন্ধান শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পর গতকাল সকালে নৌবাহিনীর দুটি মেরিনটাইম পেট্রল এয়ারক্র্যাফট ও দুটি বড় আকারের যুদ্ধজাহাজ (ফ্রিগেট) মোতায়েন করা হয়েছে। নৌবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, আজ সকালে বিএনএস ওমর ফারুক ও বিএনএস বঙ্গবন্ধু ফ্রিগেট বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে বন্দর ছেড়েছে। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানা পর্যন্ত অনুসন্ধান চলবে। বিবিসি, এএফপি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।