আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাত্রলীগ না বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক খারাপ?

ছাত্রলীগ খারাপ না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খারাপ? সব ছাত্রলীগ যেমন খারাপ নয়, সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকও খারাপ নন। কিন্তু ছাত্রলীগের পতাকাতলে যারা খারাপ কাজ করেন তারা গোটা ছাত্রলীগের কপালে কলঙ্কের তিলক পরিয়ে দেন। ছাত্রলীগের গৌরবময় রাজনীতিকে ধুলায় মিশিয়ে দেন। তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক যখন খারাপ হন তখন গোটা শিক্ষকসমাজই নয়, গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাঙ্গনকেই কলুষিত করে দেন। ছাত্রলীগের যারা টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হন তাদের খারাপ বলা হয়। তাদের জন্য ছাত্রলীগকেই খারাপ বলা হয়। ছাত্রলীগের খারাপ ছেলেদের চেয়েও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কত খারাপ হলে একটি আনুষ্ঠানিক সভায় বলতে পারেন, 'ছাত্রলীগ করলেই চাকরি দিতে হবে'- এ লজ্জা ঢাকার সুযোগ কোথায়?

একসময় ছাত্ররা শিক্ষকদের কাছে দোয়া চাইতেন। এখন শুনছি অনেক শিক্ষক রাজনৈতিক ফায়দা নিতে ছাত্র সংগঠনের নেতাদের কাছে দোয়া চান। এভাবেই আমরা তলিয়ে যাচ্ছি। তলিয়ে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। নির্বাসিত হচ্ছে মূল্যবোধ। ছাত্রসমাজ যেমন গৌরবের ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়াতে পারছে না, তেমনি শিক্ষকরা হারানো সম্মান ও মর্যাদা ফিরে পাচ্ছেন না। সোমবার জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এককালের প্রাচ্যের অঙ্ফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক, আওয়ামী-বামপন্থি শিক্ষকদের নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুল আজিজ এ কথাটি বলেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের ওই আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের কেউ এ দাবি করেননি। যেসব মর্যাদাবান শিক্ষক বেঁচে আছেন নিশ্চয়ই আত্দগ্লানিতে, লজ্জায় তারা ডুবে গেছেন। যেসব আদর্শ শিক্ষক চিরনিদ্রায় শায়িত তাদের আত্দা ক্রন্দন করেছে। রাজনীতিতে নামতে নামতে, আনুগত্য, চাটুকারিতার সিঁড়ি অতিক্রম করতে করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কতটা নিচে নামতে পারেন তার উদাহরণ অধ্যাপক আবদুল আজিজের পর আর কাউকে দিয়ে দেখাতে হবে না। এ ধরনের মূল্যবোধহীন, বিবেকবর্জিত, দলকানা শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় থাকলে জ্ঞানের প্রদীপ নিভে যেতে খুব একটা সময় লাগবে না। এসব শিক্ষকের কারণে হলে হলে সরকারি ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য বিস্তার লাভ হয়। এ ধরনের শিক্ষকদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে মেধাবী ছাত্রদের বদলে বহিরাগতরা সিট পায়। এ ধরনের খারাপ শিক্ষকদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের মন্দির থেকে সরে গিয়ে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজির অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে। এ ধরনের খারাপ শিক্ষকদের কারণে ছাত্র রাজনীতির নেতা-কর্মীরা আদর্শচ্যুত হন, পথ হারান, শিক্ষাজীবন বিপন্ন হয় শিক্ষার্থীদের। এদের কারণেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার থেকে হতে হয় বঞ্চিত। এই দলকানা শিক্ষকরা তাদের পূর্বসূরিদের আত্দসম্মানবোধ, মর্যাদা পাছার তলায় দিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সামনে অন্ধ কর্মীদের মতো মাটিতে বসে পড়েন। অধ্যাপক আবদুল আজিজ ওই আলোচনা সভায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী, শক্তিমান অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের কাছে সব ছাত্রলীগ কর্মীকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এমনকি বলেছেন, ছাত্রলীগ নেতাদের রেজাল্টের প্রয়োজন নেই। তাদের গায়ে থাকা পুলিশের ক্ষতচিহ্নই বড় যোগ্যতা। তিনি থার্ডক্লাস পাওয়া এক ছাত্রলীগারের জন্য কোন মন্ত্রী ফোন করেছিলেন তাও বলেছেন গর্বের সঙ্গে।

মঞ্চ ও টিভি পর্দার নন্দিত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের একটি ক্লিন ইমেজ রয়েছে। সংসদের ভেতরেই নয়, বাইরেও নানা আড্ডায় খুব সুন্দর রসিকতা করেন ও চুটকি শোনান। আমি জানি না এ ধরনের বক্তৃতা শোনার পর তার কী অনুভূতি হয়েছে। আমার আরও জানতে ইচ্ছা করেছে, এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি বা এমন অভিজ্ঞতা অতীতে কখনো সঞ্চয় করেছেন কি না! যদিও তিনি জবাবে বলেছেন, ছাত্রলীগের সবাই চাকরি পাবে তবে মেধার ভিত্তিতে। কারও করুণা বা অনুকম্পায় নয়। ছাত্রলীগ কারও তাঁবেদারি করে না। সারা দেশের মানুষ যখন বলাবলি করছে ছাত্র সংগঠনকে গণসংগঠনের লেজুড়বৃত্তি থেকে মুক্ত করতে হবে, অসুস্থ ধারা থেকে বের করে সুস্থ, ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে নিতে হবে তখন আসাদুজ্জামান নূরের সামনেই একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক দেশের লাখো লাখো শিক্ষার্থীর কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে ছাত্রলীগের নগ্ন তাঁবেদারি করেছেন। এমন তাঁবেদার থাকলে, এমন আজ্ঞাবহ শিক্ষক থাকলে ছাত্রলীগের মতো সংগঠনের জন্যও কোনো শত্রুর প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগ নামের দলটিকে বিব্রত করার জন্য এ ধরনের শিক্ষক থাকলে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন নেই। আমাদের ছাত্র রাজনীতির গৌরবকাল থাকলে এ ধরনের বক্তৃতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠত। উপাচার্যের কাছে সব ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ ছাত্রসমাজ এ ধরনের শিক্ষককে অব্যাহতিদানের দাবি তুলত। নিশ্চয়ই ক্লাসে পাঠদানের সময়, পরীক্ষার খাতা দেখার কালে কিংবা মৌখিক পরীক্ষায় এ ধরনের শিক্ষকরা ছাত্রলীগের সিল মারা ছাত্রদের এক পাল্লায় তোলেন, বাকিদের অন্য পাল্লায়। এরা ছাত্রলীগের খারাপ ছেলেদের চেয়েও কতটা খারাপ, সে প্রশ্নই এখন দেখা দিয়েছে। একজন আদর্শবান শিক্ষক হিসেবে বলার কথা_ ছাত্রদের আগে লেখাপড়া তারপর রাজনীতি। মেধা-যোগ্যতা, আইন-বিধি-বিধান বলে চাকরি দেওয়ার কথা। কিন্তু আজিজ যা বললেন, তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনারই দরকার কী? তার মতো শিক্ষকেরই বা প্রয়োজন কী?

বাঙালি জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার জন্মদিনের আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এ ধরনের কথা বলেছেন সেই মহান নেতা বেঁচে থাকলে আর যাই হোক এমন অন্যায় প্রশ্রয় দিতেন না। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্দজীবনী যদি ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পাঠ করে থাকতেন বা পাঠ করলেও হৃদয়ঙ্গম করে থাকেন তাহলে ঠিক বুঝতে পারতেন তার বক্তব্য এককালে শিক্ষার মন্দির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করেছে। তার এ কথা পাপের শামিল। তিনি যে শিক্ষা দিচ্ছেন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু সেই শিক্ষা দেননি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছাত্রলীগ বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিকে মহিমান্বিত করেছিল। সেই ছাত্রলীগের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর ভাষায় স্বাধীনতার ইতিহাস। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালির ইতিহাস। বাংলাদেশের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছিলেন অন্যায়, বৈষম্য ও জুলুমের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের নির্যাতন সয়ে সয়ে। ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সব সংগ্রামের অগ্রভাগে ছিল ছাত্রলীগ। ছিল ছাত্রসমাজ। স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা, ৬ দফা থেকে ১১ দফা, তারও আগে ভাষার আন্দোলন আর চুয়ান্নর নির্বাচন_ ছাত্রলীগের ইতিহাস সেখানে সোনার হরফে জড়ানো। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনী বিজয়, অসহযোগ আন্দোলন, সুমহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের কৃতিত্ব বিশাল ক্যানভাসে লেখা হয়ে আছে। আজ সেকালের ছাত্রলীগও নেই, সেকালের আদর্শও নেই। সেকালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আদর্শ আর গভীর দেশপ্রেম থেকে ত্যাগের মহিমায় রাজনীতির দুর্গম পথ হেঁটেছিলেন। সেদিন তাদের মাথার ওপর যেমন ছিল বঙ্গবন্ধুসহ দেশবরেণ্য নেতাদের ছায়া আর দিকনির্দেশনা তেমনি তাদের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল কত জ্ঞানী, মহাজ্ঞানী, আদর্শ শিক্ষকদের স্নেহের বাড়ানো হাত। একালে ভোগবিলাসী, আদর্শহীন ছাত্র রাজনীতি আছে, নেই সেই ঐতিহ্যের ধারা। নেই সেই রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভিভাবকত্ব, নির্বাসিত সেই আদর্শ শিক্ষকদের আশীর্বাদ হয়ে বাড়ানো পবিত্র স্নেহের হাত। এখানে নীল দলের আহ্বায়ক আবদুল আজিজরা ছাত্রলীগের চেয়েও বড় ছাত্রলীগ হয়ে ওঠেন নষ্ট-ভ্রষ্ট, মূল্যবোধহীন মতলববাজির রাজনীতির জমানায়। ছাত্রলীগই নয়, এদের হাতে ছাত্রদের ভবিষ্যৎও নিরাপদ নয়। এদের হাতে নিভতে বসছে শিক্ষাঙ্গনের বাতি। আগামী দিনের নেতৃত্ব বিনির্মাণে শিক্ষকদের রাজনীতি থেকে হাজার মাইল দূরে রাখার পথটিই এখন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নিতে হবে। আনুগত্য ভালো, অন্ধ আনুগত্য ও দালালি কল্যাণ আনে না। ছাত্র সংগঠনগুলোকে ক্যাম্পাস নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার না বানিয়ে স্বাধীনভাবে শিক্ষার অধিকার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজকেন্দ্রিক ছাত্র রাজনীতির সীমারেখা টেনে দেওয়ার সময় এসেছে কি না রাজনৈতিক নেতৃত্বকে ভাবতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ সংসদ নির্বাচন নিয়মিত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নির্বাচনে ছাত্র সংগঠনগুলো বড় দলের লেজুড়মুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া ইস্যু করে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হবে। বড় দলের কর্তৃত্বমুক্ত করে দিতে হবে। জনগণের ট্যাঙ্রে টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবসিডি দিয়ে ছাত্রদের পড়ালেখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে একজন শিক্ষক শুধু সরকারি ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের রেজাল্ট ছাড়াই চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দেবেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষার অধিকার যেমন সবার, তেমনি চাকরি পাওয়ার অধিকারও সবার। একমাত্র মেধার ভিত্তিতেই চাকরির বিধান আরও সুসংহত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাঙ্গনগুলোয় শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে, ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা, মেধা ও মননশীলতা এবং মুক্তচিন্তার বিকাশ ঘটাতে নিয়মিত ছাত্রসংসদ নির্বাচন, শিক্ষক রাজনীতির সীমানা নির্ধারণসহ আমূল সংস্কারে যাওয়ার এখনই সময়। অভিভাবকরা সন্তানদের মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, তদবিরবাজি ও চাঁদাবাজির আগ্রাসনে পতিত হতে দেখতে চান না। প্রকৃত মানুষ হতে দেখতে চান। মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আর যাই হোক ছাত্র রাজনীতির নষ্ট ছেলেদের চেয়েও ভয়ঙ্কর দলকানা নষ্ট-ভ্রষ্ট শিক্ষক। শিক্ষাঙ্গন, ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষকদের অবস্থানের ব্যাপারে সংসদে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবাই ছাত্রলীগ করে না, সবাই ছাত্রদল করে না, তবুও অতীতে চাকরির ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় নিয়োগ-বাণিজ্যের ঘটনা ঘটেছে। এখনো ঘটে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা থেকে অনেক কিছুই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সন্তানরা কোনো ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। কষ্ট করে বাবা-মা তাদের লেখাপড়া করান। দলীয়ভাবে তাদের বঞ্চিত করে যখন চাকরি দেওয়া হয় তখন একেকটি পরিবারের স্বপ্নের মৃত্যু ঘটে। আর সেই মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেন এ ধরনের আদর্শহীন শিক্ষকরা। নীল দলের অধ্যাপক আবদুল আজিজ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে থাকলে কী করতেন তা তার বক্তৃতায়ই বোঝা গেছে। মানুষের নাগরিক অধিকার, মৌলিক অধিকার মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত। সাংবিধানিক এ অধিকার হরণ করার ক্ষমতা কারও নেই। যারা করেন তারা জনগণের আস্থা হারান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.