সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ১৯ দলের পক্ষ থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছিল বর্তমান চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমানকে। কিন্তু লোকমানের পক্ষে মাঠে নামেনি বিএনপি। উল্টো বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ। ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবু জাহিদের কাছে প্রায় ৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন জামায়াতের লোকমান আহমদ। আর বিএনপির বিদ্রোহী দুই প্রার্থী মিলে পান সাড়ে ২২ হাজার ভোট। ফলে নিজ দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের জন্য বিএনপিকেই দায়ী করছে জামায়াত। দক্ষিণ সুরমায় পরাজয়ের পর থেকে বিএনপির সঙ্গ ত্যাগ করে 'একলা চল নীতি'-তে চলছে জামায়াত। সিলেট সদরে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার ও কানাইঘাটে বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও এখন বেঁকে বসেছে জামায়াত। দুই উপজেলায় এখনো তারা ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেনি। উল্টো কানাইঘাটে বহিষ্কৃত প্রার্থীর পক্ষে তারা মাঠে নেমেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচনে তারা বিএনপির পক্ষে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই উপজেলায় দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জামায়াত নেতা বলেন, 'বিএনপির অসহযোগিতার কারণে দক্ষিণ সুরমায় চেয়ারম্যান হারিয়েছি। আর কোনো উপজেলায় আমরা বিএনপিকে ছাড় দিতে রাজি নই। এখন থেকে বিএনপিকে বাদ দিয়েই সিদ্ধান্ত নেব।' এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল গফফার বলেন, দক্ষিণ সুরমায় বিএনপির বিদ্রোহীর জন্য জামায়াত প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন এটা সত্য। তাই জামায়াত নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।