বুধবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টির গাপটিলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল নিউ জিল্যান্ডারদের।
দলীয় ৩৭ রানে কেন উইলিয়ামসন ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের (১৮ বলে ৩৭) সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়েন গাপটিল। গাপটিলের ৩৪ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা।
শেষ দিকে কোরি অ্যান্ডারসন ১৭ বলে ২৯ ও লুক রনকি ১৫ বলে ২১ রান করলেও জিততে পারেনি নিউ জিল্যান্ড।
শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান।
১৯তম ওভারে ৮ রান দিলেও অ্যান্ডারসন ও রনকিকে আউট করেন বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক।
শেষ ওভারে ৯ রানের প্রয়োজনীয়তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নিউ জিল্যান্ডের হাতে ছিল তিন উইকেট। কিন্তু আরেক পেসার কোল্টার নাইলের জোড়া আঘাতে নয় উইকেটে ১৯৭ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন স্টার্ক, কোল্টার-নাইল এবং দুই স্পিনার ব্র্যাড হজ ও জেমস মিয়রহেড।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চের ঝড়ো ব্যাটিং মাত্র ৪৮ বলে ১১৩ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে।
২৬ বলে ৭টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৫ রান করেন ওয়ার্নার। ফিঞ্চের ২২ বলে ৪৭ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও একটি ছক্কা।
সতীর্থদের ব্যাটিং প্র্যাকটিসের সুযোগ করে দিতে ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ ‘রিটায়ার্ড আউট’ অর্থাৎ স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর অস্ট্রেলিয়া কাঙ্ক্ষিত রান পায়নি। শেন ওয়াটসনের ১৮ বলে ২৭ ও ব্র্যাড হজের ২০ বলে ২৫ রানের দুটো ‘ক্যামিও’ ইনিংস সাত উইকেটে ২০০ রান এনে দেয় তাদের।
নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে ২১ রানে দুই উইকেট নেন পেসার কাইল মিলস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।