পাকিস্তানের অভিনেত্রী, মডেল, টিভি উপস্থাপিকা মীরা ও তার স্বামী ক্যাপ্টেন নাভিদ পারভেজের একটি ভিডিওতে সয়লাব ইন্টারনেট। এ ঘটনায় পাকিস্তান সহ সর্বত্র চলছে সমালোচনার তোলপার। মীরার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আদালতে মামলা হয়েছে। সে মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের নাম।
কারণ, রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ভিডিওটি ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে ধারণ করেছিলেন তারা। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন।
মীরার পুরো নাম মীরা ওরফে ইরতাজা রুবাব। নাভিদের সঙ্গে অবাধ যৌনাচারে মিলিত হওয়ার দৃশ্য তারা স্বেচ্ছায় ভিডিওতে ধারণ করেছেন। এ ঘটনায় মুহাম্মদ শাবির নামে এক ব্যক্তি ২৯শে জানুয়ারি পাকিস্তানের এক আদালতে মামলা করেন।
তাতে তিনি মীরাকে আদালতে সমন পাঠানোর আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ওই ভিডিও সম্পর্কে ব্যাখ্যা দাবি করেন। লাহোরের সেশন কোর্টে ওই মামলায় মীরা ও তার স্বামী নাভিদের হাজির হওয়ার কথা ছিল গত মঙ্গলবার। কিন্তু তারা হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তাদেরকে ২৫শে মার্চ আদালতে হাজির করতে।
এসব ভিডিওর যথার্থতা অস্বীকার করেছেন মীরা। তিনি বলেছেন, তার অবস্থান ও সৃষ্টিশীলতাকে নষ্ট করতে এমন ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়া হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, তিনি একটি হাসপাতাল নির্মাণ করছেন। এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ এ ঘটনা। তবে অনলাইনে ভিডিওটি ছাড়ার পর স্বামী নাভিদের সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ির গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
মীরা এমন গুজব অস্বীকার করেছেন।
রিপোর্টে বলা হয়, মীরার স্বামী ক্যাপ্টেন নাভিদ পারভেজ নিউ ইয়র্ক প্রবাসী। তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। নিউ ইয়র্কে পেশায় তিনি একজন পাইলট। ইন্টারনেটে যেসব ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা গেছে তারা অবাধ যৌনাচারে মেতেছেন।
কিছু কিছু মিডিয়া নাভিদের সঙ্গে নিউ ইয়র্কে গত বছরের ৩১শে অক্টোবর তার বিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছে। তার সঙ্গে এনগেজমেন্টের কথা মীরা প্রকাশ্যে বলেছিলেন। কিন্তু তাদের যে বিয়ে হয়েছে সে কথা কখনও বলেন নি। তবে এই নাভিদ আগে থেকেই বিবাহিত। তার একটি মেয়েও রয়েছে।
এ বিষয়ে পরিচালক ফয়সাল সাইফ বলেছেন, আসলে আমি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। তবে এ ভিডিও নিয়ে পাকিস্তানে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্তারিত: http://www.youtube.com/watch?v=mcDMxtkxM40
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।