কুড়িগ্রামের ধরলা ও রাজারহাটের তিস্তা নদী বালুচরে কৃষকরা কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। এক সময় ধরলা ও তিস্তা নদী ছিল জেলার দুঃখের কারণ আর এখন সেই ধরলা ও তিস্তার বুকে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে অভাবকে দূর করছেন দরিদ্র কৃষকরা। বুদ্ধি ও অক্লান্ত পরিশ্রমে অসম্ভবকে সম্ভব করে সুখের স্বপ্ন দেখছেন নদী ভাঙা সর্বহারা শত শত পরিবার। তিস্তা নদীর বুকে জেগে উঠা পরিত্যক্ত বালু চরে উন্নয়নের ফসল বুনে ঘরে তুলছেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন ফসল চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। ধরলা-তিস্তার বুকে জেগে উঠা ধু-ধু বালুচর এখন সবুজের সমাহারে পরিণত হয়েছে। কয়েক বছর আগেও সেখানে ছিল বালুচর। সর্বনাশা তিস্তার ভাঙনে ঘর-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। এমনকি অভাব-অনটন ছিল তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। এখন তা বদলে গেছে। তিস্তার বালুচরে এখন শোভা পাচ্ছে সবুজের সমারোহ। ধরলা-তিস্তা নদীর তলদেশ শুকিয়ে জেগে উঠে বালুচর। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা ওইসব বালুচরে ফসল ফলানো দূরের কথা ঘাসও জন্মায় না। অথচ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেই বালু চরে রসুন, পিয়াজ, বেগুন, বাদাম, মরিচ, শসা, মিষ্টি কুমড়া চাষ করে সবুজে সবুজে ভরে তুলেছেন এখানকার নারী/পুরুষ কৃষকরা।
জেলার ৪টি উপজেলার চরের পরিবারগুলো বিশাল বালুচরকে কাজে লাগিয়ে অভাব দূর করছে। নারীরা তাদের স্বামী-সন্তান নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিভিন্ন ফসল চাষ করে বিক্রি করে সাফল্যের ফসল ঘরে তুলেছেন। ধরলা-তিস্তা নদীর চরের চাষি, আরিফ হোসাইন আলিফ ও রফিকুল ইসলাম জানান, ধরলা-তিস্তার বালুচরে ফসল ফলানো যাবে এটা ভাবতেই পারিনি। বালুচরে বিভিন্ন প্রকার ফসল রোপণ করে অভাবের সংসারে সচ্ছলতা এনেছি। তারা আরও জানান, প্রতি বছর বাড়ছে চরের পরিধি, সেই সঙ্গে বাড়ছে ফলন এবং লাভের টাকা হাতে পেয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে বালুচরে উন্নত প্রযুক্তিতে রসুনসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করে বেশ সফলতা পাওয়া গেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।