আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেশার আশীর্বাদ ও বাংলাদেশ এর শান্তি প্রিয়তা

বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে একটা উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের দেশের সংস্কৃতি ও সভ্যতা বলে যে আমরা জাতি হিসাবে অনেক ভাল। বর্তমান বাংলাদেশ আগের যে কোন সময়ের থেকে ভাল , এখন হুহু করে অর্থনীতির কলেবর বাড়ছে গত সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এর পর বিনপি ক্ষমতায় আসলে দেশ রকেটের গতিতে এগিয়ে যাবে। উন্নয়ন থামবে না।

বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠীরা নিরাপদে থেকে যাবে যুগের পর যুগ তাদের মনে যুব সমাজ নিয়ে কোন ভয়, ভয় নেই কোন গন জাগরন নিয়ে। মাঝে মাঝে বিরোধী পক্ষ যে আন্দোলন করে তা আসলে ক্ষমতায় যাবার আন্দোলন এটা মানুষের তথা তরুণদের জেগে ওঠা নয়।
আমাদের বাংলাদেশের শান্তির জন্য নেশা খুবই দরকার। একটা জাতিকে শান্ত রাখতে হলে, হতাশা, বেদনা ভুলিয়ে রাখার জন্য নেশার দরকার সবচেয়ে বেশী। একটা দেশের তউন সমাজ যে দেশের পরিবর্তনের চাবিকাঠি।

দেশে দেশে যে সকল গন আন্দোলন হইয়েছে তার মুখ্য ভূমিকায় ছিল সকল মতের তরুনর- তরুণীরা। আমাদের দেশের আজ যে অবস্থা তা দেখে অনেকের মনে হতে পারে এখনো কেন গন আন্দোলন হয় না, কেন সবাই মিলে আমরা দাড়ায় না? কেন সবার মতামত তুলে ধরে চলে আসা ঘুনে ধরা শাসন ব্যবস্থার সংস্কার চাই না?

আসলে সবাই চাই কিন্তু নেশা যে এসব পরিবরতন চাই না। নেশা চাই না বলে সবাই শান্তিতে আছে।
নেশা আছে বলেই আজ বংলায় কোন ওশান্তি নেই নান সমস্যার মাঝেও তরুন সমাজ চুপ করে আছে নেশায় বুদ হয়ে। আজ দেশের বড় একটা অংশ তরুন বেকার হয়ে বসে আছে তাদের কোন ভাল কাজ নেই।

বছরের পর বছর পড়াশোনার পর এক সময় দেখে বয়স শেষ বা এমন এক চাকুরী করে যা অপমান জনক কিন্তু বাচতে হবে তাই না। মনের ক্ষোভে নেশার কাছে নিজেকে সপে দেয়। নেশা হতাশা গ্রস্থ তরুণদের নিয়ে যায় আনন্দের সাগরে তারা আর কিছু করতে চাই না এতে করে বেঁচে যাচ্ছে শাসক গোষ্ঠী। বাহ কি দারুন জাদু দিয়ে এদের শান্ত করেছে। নেশার সব জিনিস এই জন্যই কি দেশে আসে সবার চোখ এর উপর দিয়ে।


সমাজে নানা হাহাকার কেউ খেতে পায় কেউ পাই না। ধনী দরিদ্রের ব্যব্ধান বাড়ছে, মেয়েরা দিন দিন নেশা আসক্ত হয়ে পড়ছে। মেয়েরা যে কতটা নেশার জগতে চলে গেছে তা বোঝা যাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঠে গেলে। ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে গাঁজার তান এর পর আছে নানা অশ্লীল কাণ্ড। আজকাল বঞ্চিত বাঞ্চোত নামের সব তরুন তরুনীদের শেষ আশ্রয় হচ্ছে নেশা।

নেশা করেই সময় পার বাকি জিনিসা ভাবার সময় কইরে।
গাঁজা, মদ, ফেন্সি, হিরো, ইয়াবা এজন্যি সহজ লভ্য করা হইয়েছে যাতে তরুন সমাজ সব ভুলে কেবল এই সব নিয়ে থাকে আর ব্যাঞ্চোতরা ক্ষমতায় বসে রাজ করতে পারে। একটা সমাজের মেয়েরা যখন নেশার দিকে ধাবিত হয়ে বিশেষ করে মুসলিম প্রধান দেশের তাহলে সমাজের কোথায় পচন ধরেছে তা বলার কোন অপেক্ষা রাখে না।
তারপরো নেশা ও এর জাত উপজাত কে ধন্যবাদ যে আমাদের নানা বয়সী মানুষকে অনেক চিন্তা ভাবনা, হতাশা, থেকে দূরে রেখেছে তা না হলে কি অবস্থা হত চিন্তা করলে গা শিউরে ওঠে? এমনিতে আমরা শান্তি প্রিয় জাতি আমাদের কি মানায় জীবনের মান উন্নয়ন করতে, কর্ম সংসস্থান এর সু্যোগ এর জন্যে, সমান অধিকারের জন্য, বা মানবাধিকারের জন্য আন্দোলন করা?
তাই যাতে হাজার বছরের ঐতিহ্য নষ্ট না হয় সেই জন্য সুকৌশলে আমাদের তউন-তরুনীরা নেশাকে কাছে টেনে সরকার কে শান্তিপুর্ন ভাবে দেশ এগিয়ে নিয়ে যাব্র সুযোগ করে দিচ্ছে।

আমাদের দেশে নানা রকম ঘটন আঘটন ঘতে চলেছে অন্য কোন দেশ হলে এতদিন রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিত লাখো তরুন মিলে।

আমাদের দেশ দুর্নীতিতে আগায় যাছে, সারা বিশ্বে চোরের জাতি হিসাবে নাম করছে, নির্বাচন নামক তামাসা চলছে, ঘুষ- খুন- দলীয়কন চরম হয়ে যাচ্ছে, আমাদের আবাস ধবংস করে ভারত মাতাকি জয় করা হচ্ছে, আর আমরা চায়ে চেয়ে দেখছি। নেশার ঘোরে একবার চোখ খুলে বিরক্ত হয়ে আবার নেশার জালে জড়িয়ে যাচ্ছি। আজ বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়েরা নেশা নীয়ে ব্যস্ত। ক্লাস ৫ এর ছেলে বলে আমি অনেক আগেই স্পয়েল্ড তাহলে আমরা অনেক ভাল আছি কারন সবাই অন্য কিছু নিয়ে ভাবছি। সমাজ নিয়ে কেউ ভাবছি না।

সমাজ নিয়ে ভাবলেই যে গ্যাঞ্জাম আর সমস্যা ।

আমাদের দেশের তউন সমাজ যদি এর কোন একটি কারন নিয়ে উঠে পড়ে লাগত তাহলে দেশে একটা পরিবরতন আসত। দেশে এতদিন রাজনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটত। সারা দেশে আগুন লেগে সব পাপ দূর হয়ে যেত। কিন্তু হায় সবাই নির্বিকার ভাবে মন্ত্রিত্ব করে যাচ্ছে তাদের কোন চিন্তা নেই।

কারন তারা জানে এজাতি কিছু বলবে না কারন এদের মেরুদন্ড বসে গেছে। দেশে শান্তি থাকবে কারন তরুণরা নেশায় ব্যস্ত হয়ে আছে তাদের ভাবার সময় কই। সন্ধ্যা হলে গাঁজায় দম না না দিলে হবে না যে? যে যার যার মত নানা নেশায় বুদ হয়ে আছে বলেই এখনো দেশ ঠান্ডা হইয়ে আছে।
দেশের ধারক অ বাহোকরা এই ঔষধি গুন সম্পর্কিত নেশার কাজ জানে তাই তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই তারা চাই দেশের উন্নয়ন আর উন্নয়ন মানেই শান্তি আর শান্তি মানেই নো আন্দোলন, নো ফ্যাসাদ , নো দাবিদাওয়। তাই যত পার নেশা আনো তা হোক ভারত থেকে বা হোক মায়ানমার থেকে বা অন্য দেশ হতে নেশার বড়ি পানি আমাদের দেশে আসা চাই ই চাই।

আমাদের তরুন সামাজকে এর সন্ধান দিতেই হবে, তা না হলে ভারত বন্ধু কি আমাদের সীমান্তে ২৪৫টির মত ফেন্সি কারখানা খুলে ফেল। ওরা জানে আমাদের কি লাগবে? আর বিশ্ব মোড়লরা জানে এখন এই জিনিস দিতে হবে। সেই সাথে আমাদের পুলিশ ও নেতা মন্ত্রীরা দারুন ভাবে কাজ করে তরুণদের ঘুমিয়ে রাখছে। মাঝে মাঝে যখন দরকার ঘুম ভাঙ্গিয়ে রেকর্ড গড়ে নিয়ে বলছে তোমরা অনেক বড় দেশ প্রেমিক যাও আবার ঘুমাও । কি চমতকার তাই না আমাদের দেশ।

নেশার দরকার বাংলাদেশে খুব বেশী আর এটা না হলে সবাই যে জেগে উঠবে , হিম ঘর থেকে ঘুম ভেঙ্গে বেরিয়ে আসবে বাস্তবে , পাওয়া- নাপাওয়া কষ্টে, অধিকার বঞ্চিত হবার কষ্ট, বৈষম্যের ক্ষোভে, নানা লোভে, আঘাত করবে সমাজের পচা কাঠামোতে। আর এর ফলে যে ঘুর্নিবাত হবে তাতে সব কিছুর অস্তিত্ত সঙ্কটে পড়বে। কিন্তু এত ঝামেলা আমাদের দেশের মানূষ চাই না বলে নেশার সাথে আপোশ করে চলছে। জয় নেশা জয় নেশা, গাঁজা বাবা ধন্য, মদ তুমি ধন্য, ফেন্সি তুমি ধন্য, ইয়াবা তুমি ধন্য । তোমারা আছ বলে আমরা এখনো শান্তি পাই।



আমি সব তরুণদের কথা বলিনি , যে সবাই নেশার সাথে ডুবে গেছে কিন্তু এটা সত্য যে সমাজের বড় একটা অংশ আজ নেশার জগতে তলিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন যা আমাদের ভবিষ্যত কে নষ্ট করে দিচ্ছে। এই নেশা আমাদের সবাইকে এক সাথে জেগে উঠতে দিচ্ছে না। আর আমরা সবাই একসাথে জেগে উঠতে না পারলে বাংলাদেশ আস্তে আস্তে নেশাগ্রস্থ মানুষের মত মারা যাবে , না হয় পচে যাবে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।