উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ। বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে আন্দোলন শুরু করা এ পর্ষদ ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র উৎসব আয়োজন করে। প্রতি দুই বছর অন্তর তারা এ উৎসবের আয়োজন করে।
এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসব পরিচালক আনোয়ার চৌধুরী জানান, এর আগে উৎসবে কোনো বিদেশি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত না হলেও ১০ বছর পূর্তিতে প্রথমবারের মতো বিদেশি প্রামাণ্যচিত্র এ উৎসবে প্রদর্শিত হবে। সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ‘সাউথ এশিয়া ডকুমেন্টারি ফেস্টিভ্যাল’ থেকে চারটি সিনেমা বাছাই করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উৎসবের ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন সব্যসাচী লেখক ও কবি সৈয়দ শামসুল হক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রামাণ্যচিত্রে অবদানের স্বরূপ প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরকে মরণোত্তর আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নির্বাচিত প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
এ উৎসবকে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতাদের জন্য ‘আশির্বাদস্বরূপ’ হিসেবে দাবি করে আনোয়ার চৌধুরী বলেন, “এ দেশে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের অর্থসংস্থানের কাজটি ভীষণ দুরূহ। প্রামাণ্যচিত্রের বিতরণ ও প্রদর্শনের সুযোগও এখানে সীমিত।
এ উৎসবে পারস্পরিক আলোচনা-সমালোচনায় যুক্ত হওয়া, দর্শক-নির্মাতার কাছাকাছি আসা সহ বিভিন্নমুখী সুযোগ রয়েছে। ”
উৎসবের জন্য সারাদেশ থেকে ৮০টি প্রামাণ্যচিত্র জমা পড়েছিল। প্রবাসী নির্মাতারাও উৎসবের জন্য প্রামাণ্যচিত্র জমা দিয়েছেন। উৎসবে ‘জাতীয়’ ও ‘নবীন’ নামে দুটি শাখাতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র আন্দোলনের অন্যতম কর্মী ফৌজিয়া খান বলেন, “উৎসবের জন্য জমা পড়া প্রামাণ্যচিত্রগুলো গতানুগতিক ধারার বাইরে নির্মিত।
নির্মাতারা বিষয়বৈচিত্র্য, অপ্রচলিত ও সাহসী বিষয়বস্তু নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছে। সিনেমার উপস্থাপনা ও আঙ্গিকের দিক থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপারগুলো সিনেমাতে আঁচ পাওয়া গেছে। ”
উৎসবে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ছাড়াও প্রথমবারের মতো প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তিনদিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে তারা। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের সেমিনার হলে শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হবে তিনদিনব্যাপী এ কর্মশালা। কর্মশালা পরিচালনা করবেন মাহমুদুল হোসেন, ফৌজিয়া খান ও মানজারে হাসীন মুরাদ।
এছাড়া রয়েছে ‘নিউ মিডিয়া আর্ট ও প্রামাণ্যচিত্র’ শিরোনামে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন চলচ্চিত্র সমালোচক মাহমুদুল হোসেন। আলোচনা করবেন লালা রুখ সেলিম, মঈনুল হুদা এবং শবনম ফেরদৌসী।
শনিবার থেকে শুরু হবে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে প্রতিদিন ৩টি করে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।
চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।