পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙতে পারল না টাইগাররা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হয় তারা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে সংগ্রহ করে ১৩৮ রান। টি-২০তে সহজ এ লক্ষ্যে নেমে জয় তুলে নেয় বিরাট কোহলি বাহিনী। দলে ফিরে প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ শামসুর রহমান প্রথম বলটিই সুইপ করে সীমানা ছাড়া করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
ব্যক্তিগত ৬ রানে শিখর ধাওয়ানের ব্যর্থতায় রান-আউটের হাত থেকে বেঁচে গেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তামিম ইকবাল। আর কোনো রান যোগ না করে রবিচন্দন অশ্বিনের বলে স্লিপে সুরেশ রায়নার ক্যাচে পরিণত হয়ে বিদায় নেন তিনি। পরপর দুই বলে তামিম ও শামসুরকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো অশ্বিনকে হতাশ করেছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু বেশিক্ষণ টেকেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ভুবনেশ্বর কুমারের করা পরের ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে সাকিব বিদায় নিলে স্বাগতিকদের স্কোর পরিণত হয় ২১/৩ এ।
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে এনামুল হকের ৪৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। মুশফিকের বাজে একটি শটে ভাঙে বিপজ্জনক হয়ে উঠা এই জুটি। অমিত মিশ্রর গুগলি বুঝতে পারলেও টার্নের কারণে ঠিকভাবে খেলতে না পেরে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন এনামুল। ৪৪ রান করা ডানহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ৪৩ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। ষষ্ঠ উইকেটে নাসির হোসেনের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ।
এক প্রান্তে তিনি দ্রুত রান তুললেও অন্য প্রান্তে রানের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছিল এক ম্যাচ পর দলে ফেরা নাসিরকে। মিশ্রর করা শেষ ওভারের প্রথম বলে নাসির স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলে ভাঙে ৩১ বল স্থায়ী জুটি। পরের বলেই লংঅফে ক্যাচ দিয়ে জিয়াউর রহমান বিদায়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগে মিশ্রর। তার হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেয়া মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৩৩ রানে। তার ২৩ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছক্কা।
শেষ বলে ছক্কা হাঁকানো মাশরাফি অপরাজিত ছিলেন ৬ রানে। ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লেগস্পিনার মিশ্রই ভারতের সেরা বোলার। অফস্পিনার অশ্বিন ২ উইকেট নেন ১৫ রানে। ১৩৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয় পায় ভারত। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনী ১২ বলে ২২ ও বিরাট কোহলী ৫০ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ভারতের ইনিংসে প্রথম দুই ওভারে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সোহাগ গাজী ভারতের রানের গতি বেধে রেখেছিলেন। তৃতীয় ওভার করতে আসা আল-আমিন হোসেনের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথম বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। নিশ্চুপ হওয়া গ্যালারিকে উচ্ছ্বাসে মাতাতে বেশি সময় নেননি আল-আমিন। পঞ্চম বলটি এগিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান শিখর ধাওয়ান।
ব্যক্তিগত ২৬ রানে জীবন পান রোহিত শর্মা। ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। ক্যাচ ধরার জন্য ছুটে ছিলেন সোহাগ গাজী ও এনামুল হক। ক্যাচটিও তাই হাতছাড়া হয়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।