২৮.০৩.২০১৪
একজন মানুষ রাজনীতি কেন করেন? দেশ-সেবার যে আকুলতা মানুষের অন্তরে গ্রথিত থাকে সেই আকুলতার জায়গাটাই থেকেই একজন মানুষ রাজনৈতিক নেতৃত্বে আসতে উজ্জ্বিবীত হবেন বা হয়ে থাকেন বলে আমার বিশ্বাস। আর দেশ-মাতৃকার জন্য জীবন উৎসর্গ করে দেয়ার মাঝেই রয়েছে রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বার্থকতা।
বিনিময়ে একজন নেতা পাবেন দেশের মানুষের বুকভরা ভালবাসা। বাংলাদেশের মানুষ সসম্মানে নেতাদেরকে মাথায় তুলে রাখতে অভ্যস্ত। এমনকি নেতারা সাধারন মানুষের কাছে পুজ্য হয়ে থাকেন আজীবন।
কিন্তু কান্ডারীগণ যদি নিজেদের লক্ষ্য স্বঠিকভাবে নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হন, তারা যদি স্বঠিক পথে চলতে না পারেন তাহলে তা একটি দেশের জন্য ভয়ঙ্কর একটি অবস্থার সৃষ্টি করে থাকে। আমরা কি এরকমই একটা অবস্থার দিকে এগিয়ে চলছি ? কিংবা আমরা কি সেই অবস্থার মধ্যই নিপতিত নই?
দেশের নেতাগণ কাজ করে দেশের মানুষের মন জয় করবে। বিনিময়ে মানুষ তাদেরকে রাষ্ট্রের নেতৃত্বে অধিষ্ট করবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে দেখছি মানুষের ভালবাসায় নেতাদের মন ভরে না। তারা নেতা হতে চান মানুষের সেবার জন্য নয়, বরং নিজেদের ভবিষৎ গড়ার জন্য।
মাটি আর মানুষ তাদেরকে আর টানে না। তারা বরং সময়ের মহা ক্ষমতাবানদের আশপাশে থেকে তাদের কৃপা অর্জনে বেশি আগ্রহী। নিজেদের ভাগ্য গড়তে তারা নানা রকম পীর ফকির আর তন্ত্র-মন্ত্র সাধকদের কাছে ছুটাছুটি করেন। আঙ্গুলে নানা রঙের আংটি পরেন ভাগ্য ফেরাতে। সাধারণ মানুষ তাদের আলোচ্য বিষয় নয়, বরং নিজের সন্তানেরা কীকরে দুধে ভাতে থাকবে তার জন্যই তারা ব্যস্ত।
যদি ছাত্র রাজনীতির দিকে তাকাই তো দেখি তা আজ অছাত্র আর কুছাত্রদের দখলে। কিন্তু এই কথা বলা যাবে না। শোনা যায়, মেধা নয়; অস্ত্রবাজীতে ভাল পারফর্ম না করতে পারলে ছাত্র নেতা হওয়া যায় না। অনেক ছাত্র নেতা নিজেই ছাত্র ছাত্রীর বাবা হয়ে গেছেন। মূলতঃ এরাও নিজেদের ভাগ্য ফেরাতেই ঝুঁকিপূর্ণ ছাত্র রাজনীতির পেশা গ্রহণ করেছেন।
এদের আঙ্গুলেও আছে বাহারি পাথরের আঙটি।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মার অভিশাপ এসমস্ত নেতাদেরকে শান্তিতে বাঁচতে দিবে না । শান্তিতে মরতেও দিবেন না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।