পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিচারক শিশু মোহাম্মদ মুসা খানকে আপাতত জামিন দিলেও এখতিয়ার না থাকায় পুরোপুরি খালাস দেয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের ‘দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা’।
শিশু মুসার সঙ্গে তার বাবা ও দাদাসহ পরিবারের আরো ২৯ জন সদস্যকেও একই মামলার আসামি করা হয়েছে।
অবৈধ বিদ্যুৎসংযোগের বিরুদ্ধে লাহোরে একটি বাড়িতে অভিযানে আসা পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পর মামলাটি করা হয়। বাড়ির বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে বিল পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে।
‘শিশুটি পাথর ছুড়তে পারে এবং একাজে অংশ নিয়েছিল’ মনে করে পুলিশের এসআই কাশিফ আহমেদ তাকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেন।
গত সপ্তাহে লাহোর আদালতে প্রথম হাজির হওয়ার পর শিশুটিকে দাদার কোলে রেখে মামলার কাগজপত্রে তার আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার সময় সে কাঁদছিল। এরপর শিশুটি ফিডারে করে দুধও খায় আর ওই সময়টিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের মাইক্রোফোন ধরারও চেষ্টা করে।
শিশুটির দাদা রয়টার্সের সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে একাজ করেছে। এখন তারা ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ কারণে আমি আমার নাতির সুরক্ষার জন্য তাকে ফয়সালাবাদে পাঠিয়ে দিয়েছি”।
আদালতে হাজিরার পর অন্য আসামিদের সঙ্গে বিচারক তাৎক্ষণিকভাবেই শিশুটির জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু তার মামলা খারিজের এখতিয়ার না থাকায় শিশুটিকে খালাস দেয়া যায়নি। ফলে আগামী ১২ এপ্রিল মুসাখানকে আবার আদালতে হাজির হতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
শিশুটির দাদা মোহাম্মদ ইয়াসিন প্রশ্ন তুলে রয়টার্সকে বলেন, “৩২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাকে (মুসা খান) আদালতে তোলা হল। অথচ সে তার দুধের বোতলটিও ঠিকমতো হাতে তুলে খেতে পারে না।
এই শিশু কিভাবে পুলিশকে পাথর মারল”?
সংশ্লিষ্ট এসআই আহমেদকে অবশ্য এ ঘটনার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরীফ বলেছেন, যারা এই মামলা নথিভূক্ত করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
পাকিস্তানে সর্বনিম্ন ১২ বছর বয়সীদের বিরুদ্ধে কেবল ফৌজাদারি মামলা করার বিধান রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।