সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর ভিতরে শিবির সন্দেহে এক শিক্ষার্থীকে গণপিটুনি দিয়েছে ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় এ ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাবির ইতিহাসে লাইব্রেরীর ভিতরেই কোন শিক্ষার্থীকে মারার ঘটনা এটাই প্রথম ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আন্তর্জাতিক সর্ম্পক বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে শিবির সন্দেহে জিয়া হলের মোতাহার হোসেন প্রিন্স, জসিম উদ্দীন হলের সালাম ও সোহান ব্যাপক মারধর করে। লাইব্রেরী ভিতরে চেয়ার ও রট দিয়ে তাকে মারার একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে টেনে লাইব্রেরীর বাহিয়ে নিয়ে আসা হয়।
অজ্ঞান অবস্থায় কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের আরো ১০/১৫ জন কর্মী তাকে খেলার স্টাম ও গাছের ঢাল দিয়ে মারধর করে। মারার একপর্যায়ে তাকে উলঙ্গ করে ফেলা হয়। খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিম এসে তাকে উদ্ধার করে।
এসময় শাহবাগ থানা পুলিশও এসে হাজির হয়। গুরুতর আহত হওয়ার কারনে তাকে প্রাথমিকভাবে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের দাবি তার মোবাইলে ইসলামী এসএমএস ছিল তাই তারা তাকে শিবির সন্দেহ করে তার উপর হামলা ছালিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রিন্স এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আমজাদ আলীকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মোতাহার হোসেন প্রিন্স এর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় র্ব্তমানে ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। ঢাবি ক্যাম্পাসসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার একটি গ্র“প দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই করে আসছে বলে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এরকম একটি মামলায় তাকে ২১ দিন জেলেও থাকতে হয়েছে। বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ছালিয়ে সে দলের মধ্যে শক্ত অবস্থান নেয়ার চেষ্ঠা করছে বলে জানা গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।