যে সব ভাবমূর্তি আমাদের তাড়া করে ফিরছে
ফকির ইলিয়াস
=========================================
বিদেশী মিডিয়ায় বাংলাদেশের কথা দেখলেই চোখ তুলে তাকাই। কী ঘটছে! কেমন আছে বাংলাদেশ! কতোটা এগুচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন! বাংলাদেশ বিশ্বে সন্ত্রাসপ্রবণ দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৯তম। ১৫৮টি দেশের ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিক অ্যান্ড পিস (আইইপি) এই ‘গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স’ প্রকাশ করেছে। না, সংবাদটি সুখকর নয়। বাংলাদেশের চারপাশে এখন বহুমুখী চাপ।
২০১১ সালে বিশ্বের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস একটি রিপোর্ট করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলোতে অশান্তির মূল কারণ শ্রমিকদের বেতন নিয়মিত না দেয়া। বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে সেই সময়ে ১৮ জন শ্রমিক গ্রেপ্তার, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়াসহ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি নিউইয়র্ক টাইমসে বিজনেস সেকশনে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গার্মেন্ট শ্রমিকদেরও ন্যূনতম মাসিক মজুরি ৩০০০ টাকা (৪৩ ডলার) করা হয়েছে। কিন্তু কিছু শ্রমিক সংগঠন ঘোষিত এই মজুরি মেনে নিলেও গার্মেন্ট শ্রমিকদের কিছু সংগঠন ৫০০০ টাকা (৭২ মার্কিন ডলার) ন্যূনতম মাসিক মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত।
সরকার শ্রমিকদের এই আন্দোলনকে অনিয়মতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে বলপ্রয়োগ এবং শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের গ্রেপ্তারে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইন্টারন্যাশনাল লেবার রাইটস ফোরাম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে শ্রমিক সংগঠনগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয় ৩০০০ টাকা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই প্রসঙ্গে মালিক পক্ষ বলেছেন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে এর চেয়ে বেশি মজুরি সম্ভব নয়। মালিক পক্ষ বলেছেন, আর্থিক কারণে ভিয়েতনামের সঙ্গেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে।
প্রতিবেদনে তুলনামূলক বিশ্লেষণে বলা হয় ওয়াল মার্ট এবং এইচএন্ডএম-এর মতো পাশ্চাত্যের বড় বড় স্টোরের কাপড় প্রস্তুতকারী এসব গার্মেন্ট শ্রমিকরা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের তুলনায় অনেক কম মজুরি পাচ্ছে। টাইমসে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা হয় চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি হচ্ছে মাসিক ১১৭ ডলার। সেই তুলনায় বাংলাদেশী শ্রমিকরা পাচ্ছে মাত্র ৪৩ ডলার। প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এবং শ্রমিক সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলন এবং গ্রেপ্তারের বিষয়টি হাইলাইট করা হলেও আন্দোলনের নামে ভয়াবহ ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের উল্লেখ সে সময় করা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইন্টারন্যাশনাল লেবার এবং হিউম্যান রাইটস এডভোকেসি গ্রুপ আন্দোলন দমনে সরকারের প্রতি নির্যাতন অভিযোগ করেছেন এবং তারা গ্রেপ্তারকৃতদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গার্মেন্ট শিল্প নিয়ে বাংলাদেশ যখন গোটা বিশ্বব্যাপী আলোচনায় তখন এসেছে পদ্মাসেতু দুর্নীতিতে বাংলাদেশের দুজন প্রাক্তন মন্ত্রীর নাম। একজন সৈয়দ আবুল হোসেন, আরেকজন আবুল হাসান চৌধুরী। মোট রয়েছেন নয়জন বলে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট বেরিয়েছে।
বিভিন্ন মিডিয়ার ভাষ্য থেকে দেশবাসী জানছে, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন দুদকে দেয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন, আবুল হাসান চৌধুরী এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাদের নিয়ে দুবার কাজ পাওয়ার জন্য তার সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়া কানাডায় মামলা হওয়া এসএনসি-লাভালিনের দুই কর্মকর্তার ১০ শতাংশ ঘুষের বিষয়টি রমেশ শাহের ডায়রিতে লিখিত আছে।
মূল্যায়ন কমিটি বারবার কেন ভাঙা হয়েছে, সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন ও সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সে ব্যাপারে যথার্থ উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এদিকে সংবাদ বেরিয়েছে, লিখিত বক্তব্যে পদ্মাসেতু দুর্নীতির ‘দায় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দেয়া লিখিত জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, কানাডিয়ান কোম্পানি এসএনসি লাভালিনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আবুল হাসান চৌধুরী আমার কাছে এসেছিলেন। জবানবন্দি শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সৈয়দ আবুল হোসেন। এ সময় পদ্মাসেতু প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রথমে বলা হয়েছিল দুর্নীতি হয়েছে, এখন বলা হচ্ছে- এ প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, কোনো দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হলেও তার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ’
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে মন্ত্রিত্ব হারানোর পরও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতি প্রয়াত আবু সাঈদ চৌধুরীর তনয়, আবুল হাসান চৌধুরী ‘টুপাইস’ কামানোর ধান্ধায় রাষ্ট্রীয় একটা বড় ক্ষতি করেছেন। যা গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণœ করেছে। এদিকে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই ঢাকা ত্যাগ করেছেন লুই গাব্রিয়েল মোরেনো ওকাম্পো নেতৃত্বাধীন পর্যবেক্ষক দলের তিন সদস্য। এর আগে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান জানিয়েছিলেন, অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুএকদিনের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এই সরকারের সময়ে পদ্মাসেতুর কোনো হেতু হবে- তা আশা করার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ এতো ঘাপলা রেখে কোনো বড় কাজ করা যায় না। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো যেসব কারণে ভূলুন্ঠিত হচ্ছে- তা হচ্ছে ন্যায়বিচারের অভাব ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সাংবাদিক সাগর-রুনী হত্যাকা-, কূটনীতিক খালাফ আলী হত্যাকা-, ইলিয়াস আলী গুম এসব ঘটনা বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যাকা- দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্র পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের কবলে পড়েছে দেশের গার্মেন্ট শিল্প। সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করে গোটা গার্মেন্ট শিল্পকে হুমকির মধ্যে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যাকা-ের বিষয়টিকে সামনে রেখে বেতনভাতা বৃদ্ধির নামে গার্মেন্টে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য গার্মেন্ট শ্রমিকদের উস্কে দেয়া হচ্ছে। গার্মেন্ট শিল্পে অশান্ত, উত্তপ্ত ও অস্থিরতা সৃষ্টির নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে কয়েকটি গার্মেন্ট শ্রমিক সংগঠন। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী- বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-ভাতাবৃদ্ধি তো দূরের কথা সময়মতো পরিশোধও করা হয় না।
বেশিরভাগ গার্মেন্ট শিল্পে শ্রমিকদের ছুটি, কর্মঘণ্টা, পিসরেট, শ্রমিক ছাঁটাই, মানবিক আচরণ পালিত হয় না। শ্রমিকদের সঙ্গে অসদাচরণ এমনকি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটে চলছে। এসব কারণে গার্মেন্টস শিল্পে শ্রমিকদের মধ্যে এমনিতেই অসন্তোষ, ক্ষোভ বিরাজমান। এসব ক্ষোভ ও অসন্তোষকে পুঁজি করে এখন গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যাকা-ের ব্যাপারে শ্রমিকদের কৌশলে উসকে দেয়া হচ্ছে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের উসকে দেয়ার নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে কয়েকটি গার্মেন্ট শ্রমিক সংগঠন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গার্মেন্ট শিল্পে সহিংসতা ও সংঘাত ছড়িয়ে দেয়ার নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম নিহত হওয়ার আগে যে শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেই শ্রমিক সংগঠনটি। বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি কেন্দ্র (বিসিডব্লিউএস) নামের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিহত শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম। সে গার্মেন্ট এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের (বিজিআইডব্লিউএফ) সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডব্লিউএস), গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্ট ট্রেড ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গার্মেন্ট শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবির কথা বলায় শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে। গার্মেন্ট শ্রমিক সংগঠনের বেশ কিছু নেতার সঙ্গে বিদেশী প্রভাবশালী মহলের যোগাযোগ আছে।
এটাই যদি বাস্তবতা হয় তাহলে প্রশ্ন আসে কোথা চলেছে বাংলাদেশ? আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে যে অগ্নিকা- ঘটেছে তা যদি পরিকল্পিত হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, তীব্র শঙ্কার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ।
এর পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, এ বছরের ৫ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ২ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। ৬ মে রোববার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব ঢাকার (আইএসডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হিলারি ক্লিনটন বক্তব্যের একপর্যায়ে গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যার তদন্ত নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, হত্যাকা-ের তদন্ত না হলে বিদেশী ক্রেতারা ভুল সঙ্কেত পাবে। শ্রমিক নেতা খুন হওয়ার ঘটনা বা কারখানায় কাজের যথাযথ পরিবেশ না থাকায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংকটের মুখে পড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এরপর গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আমেরিকা-ইউরোপের দেশসমূহে গার্মেন্টন্স পণ্য রপ্তানিতে প্রভাব পড়তে পারে বলে ইতোমধ্যেই বিদেশী রাষ্ট্রের প্রভাবশালী মহল থেকে কথা বলা শুরু হয়। গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। তিনি আমিনুলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের তাগিদ দেন। দীর্ঘ সময় পরেও কেন খুনিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না তা নিয়ে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। হিলারি ক্লিনটন শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যার তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।
এটা খুবই স্বীকৃত বিষয়, আমেরিকার মেসিস, জে সি পেনি, সিয়ারস, ওয়ালমার্টসহ অনেক বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর এখন বাংলাদেশের পোশাকে সয়লাব। যা গোটা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। জাতিগতভাবে আমরা কি এই গৌরব ধরে রাখতে পারবো না? এই যে এতো আহ্বান, তার কি কোনো সুরাহা হয়েছে? না হয়নি। কেন হয়নি? নিশ্চিন্তপুর ট্রাজেডি নিয়ে জাতীয় শোক পালিত হয়েছে। কিন্তু এই যে অশনি সংকেত, তার যদি স্থায়ী সমাধান না করা যায়- তাহলে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
এতে দেশের অর্থনীতির মেরুদ- ভেঙে যেতে পারে। আসল কথা হচ্ছে, যে কোনো অপশক্তিই এসব কর্মকা-ের পেছনে জড়িত থাকুক না কেন- ওদের চিহ্নিত করা হোক। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক। তা না হলে অগ্রসরমান বাংলাদেশে আরো জটিল অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশ একটা প্রতীক হতে পারতো- যে প্রতীক সৎ খেটে খাওয়া মানুষের।
তা হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ কিছু সামন্তবাদী মানুষের শোষণ। এই প্রজন্মকে বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে দুর্নীতিকে প্রতিহত করতে এগিয়ে আসতে হবে। শোনা যাচ্ছে আগামী অক্টোবর মাসেই সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তাই যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের বিষয়গুলো ভাবা দরকার।
দেশ যাতে আঁধারের দিকে ধাবিত না হয়, তা বিবেচনায় না রাখলে তো আর বিজয়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা যাবে না।
৬ ডিসেম্বর ২০১২
============================================
দৈনিক ভোরের কাগজ / ঢাকা / ৮ ডিসেম্বর ২০১২ শনিবার প্রকাশিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।