আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোকোর টাকা পাচার সমাচার

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। চোরের মায়ের বড় গলা বলতে তো চাই-ই-না, এমনকি একে তো চুরি তার ওপর সিনাজুরি, তাও বলতে চাই না। তবে শুধু চুরি নয়, ছোটখাটো কোন অপরাধ করলেও অনেকেই দোষ স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থী হয় বা নমনীয় ভাব দেখায়। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াÑ যিনি তিন-তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন, তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো বিদেশে টাকা পাচারের দায়ে দ-িত হয়েছেন। সিঙ্গাপুরে পাচারকৃত বিপুল পরিমাণ টাকার একটা অংশ ইতোমধ্যে দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

তারপরও বেগম জিয়া ও তাঁর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক বিএনপি নেতার চোখ বুজে নির্লজ্জ মিথ্যাচার দেশের মানুষের হাসির খোরাক জোগাচ্ছে। বিরোধী দলীয় নেত্রী গত ১৯ নবেম্বর বরিশালে এক জনসভায় দেশ সেবার আরেকবার সুযোগ দানের জন্য জনগণের কাছে করজোরে মিনতি করেছেন। বরিশালে অনুষ্ঠিত জনসভার পরদিন ছিল ২০ নভেম্বর, বেগম জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের ৪৮তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বেগম জিয়া অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, তারেক রহমান কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। তার তেমন কোন সম্পদ নেই।

সম্পদের প্রয়োজনও ছিল না। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরা পরিকল্পিতভাবে সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। তিনি বলেছেন, তারেক রহমান আধিপত্যবাদীদের ষড়যন্ত্রের শিকার। কারণ, তারা তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভয় পায়। ওয়ান ইলেভেনের ‘ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিন সরকার’ গভীর ষড়যন্ত্র করে তারেক রহমানকে হত্যা করতে চেয়েছিল।

কিন্তু আল্লাহ্র রহমতে সে বেঁচে গেছে। এদিকে পুত্র-স্নেহে অন্ধ মা তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র সম্পর্কে সগৌরবে এমন মিথ্যা দাবির মাত্র দু’দিন পরই ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশে পাচার করা টাকা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশে ফেরত আনতে সক্ষম হয়। সিঙ্গাপুরে পাচার করা ২০ কোটি টাকার মধ্যে ১৩ কোটি অর্থাৎ ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোকোর এ্যাকাউন্ট থেকে ফেরত পাঠিয়েছে। বাকি ৭ কোটি টাকা বা ৯ লাখ ৩৫ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার শীঘ্রই দেশে ফেরত আনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তারেক রহমান এবং তার ব্যবসায়ী বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধেও দুদকের দায়েরকৃত একটি মানি লন্ডারিং মামলা বিচারাধীন আছে।

উল্লেখ্য, গত ৪১ বছরে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার কথা শোনা গেলেও পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার ঘটনা এটাই প্রথম। দুদকের উদ্যোগ ও অনুরোধে সিঙ্গাপুরের লিগাল এ্যাসিস্ট্যান্স এ্যান্ড জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় এ অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ সালে দুদকের দায়ের করা এক মামলার প্রেক্ষিতে গত ২২ নবেম্বর সোনালী ব্যংাকের রমনা কর্পোরেট শাখায় এ টাকা ফেরত আসে। সব টাকা দুর্নীতিবিরোধী কাজে খরচ করা হবে বলে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সিঙ্গাপুরে কোকোর অর্থ পাচারের বিষয়টি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জনগণ জানতে পারে।

সরকারী মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের যন্ত্রাংশ কেনার সময় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ সিঙ্গাপুরে কোকোর ব্যাংক এ্যাকাউন্টে রাখা হয়। কোকো ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী প্রয়াত লে. কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন একটি বহুজাতিক কোম্পানি থেকে ঘুষ হিসেবে এ টাকা গ্রহণ করে সিঙ্গাপুরেরর ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকে (ইউবি) প্রেরণ করে। ২০০৪ সালে কোকো ও সিঙ্গাপুরের নাগরিক লিম সিউ চ্যাংয়ের সিঙ্গাপুরের ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংক (ইউবি) এ একটি এ্যাকাউন্ট খোলেন। শর্ত ছিল চ্যাং ও কোকোর যৌথ স্বাক্ষরে এই এ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যাবে। এর আগে পাচার হওয়া টাকা নিজের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে রাখার দায়ে চ্যাঙ্গকে সে দেশের আদালত নয় হাজার ডলার জরিমানা করে।

চট্টগ্রাম বন্দরে টার্মিনাল নির্মাণ এবং সরকারী মোবাইল ফোন কোম্পানি টেলিটকের যন্ত্রাংশ কেনার সময় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থই এ এ্যাকাউন্টে রাখা হয়। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্জিত ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে, যা মানি লন্ডারিং আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ অবশ্য রাজধানীর কাফরুল থানায় আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে। ২০০৯ সালের ১২ নবেম্বর মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়। ২০১১ সালের ২৩ জুন প্রদত্ত রায়ে কোকো ও সায়মন উভয়কেই ছয় বছরের সশ্রম কারাদ- দেয়া হয় এবং ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

কোকো ও সায়মন অনুপস্থিত থাকায় আদালত পলাতক হিসেবেই তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে রায় দেয়। জরিমানার টাকা দু’জনকেই সমানভাগে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেয় আদালত। সিঙ্গাপুর ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকে কোকো ও সায়মনের পাচার করা টাকা বাজেয়াপ্তও করা হয়। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, গত ২৮ নবেম্বর এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বলেন, কোকোর টাকা হঠাৎ করে আসেনি। অনেক আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে টাকা ফেরত আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স কাজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশে ঘুষ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশেও টেলিটকের যন্ত্রপাতি রফতানি করতে সিমেন্স কোকোকে ঘুষ দিয়েছিল। সিমেন্সের এই ঘুষ দেয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশ পায়। সিমেন্স সেখানে দোষ স্বীকার করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে সিমেন্সকে জরিমানা করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত শুরু করে। তারাও জানতে পারে যে সিঙ্গপুরে একটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তখন সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে মিউচুয়াল আইনী সহায়তা চাওয়া হলে তারা তথ্য প্রদান করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট এ্যাকাউন্ট নম্বর ও টাকার পরিমাণ দিয়ে কোকোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সিঙ্গাপুরের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের কাছে টাকাটা বাংলাদেশের বলে উল্লেখ করা হয়।

সিঙ্গাপুরের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস জানায়, এভাবে বাংলাদেশকে টাকা দেয়া যাবে না। টাকা পেতে হলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে অর্থ পাচারবিষয়ক একটি বিশেষ খাত খুলতে হবে। তাদের কথামতো বিশেষ খাত খোলার পরও তারা নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে বলে এ টাকা তারা দুদককে দেবে। দুদক বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে একটি ফরেন এক্সচেঞ্জ এ্যাকাউন্ট খোলে। সিঙ্গাপুর আরও শর্ত দেয় যে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে কারও বেতন প্রদান বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

শুধু দুর্নীতি দমনের কাজে ব্যবহার করতে হবে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিষয়টি এখনও শতভাগ নিশ্চিত হয়নি বলে মহানন্দে মশগুল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল গোয়েবলসীয় কায়দায় আরাফাত রহমান কোকোর ‘পাচার করা’ অর্থ ফেরত আনা নিয়ে দুদকের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এটা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ। বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের চরিত্র হননের জন্যই সরকারের আজ্ঞাবহ দুদক এ নাটক সাজিয়েছে। ’ তিনি বলেছেন, দুদক আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার জন্যই এ ষড়যন্ত্র। জাতীয়তাবাদী দলের এক আইনজীবী নেতা দৃঢ়ভাবে দাবি করেন, দেশে ফিরিয়ে আনা পাচার করা অর্থ কোকোর নয়।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্প্রতি এক জনসভায় তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয় বলে বক্তব্য দেয়ার পরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দুদক চেয়ারম্যান এ বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে উপস্থাপন করে খালেদা জিয়ার বক্তব্য মিথ্যা ও তাঁর দুই ছেলেকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রমাণের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। অবশ্য, খালেদা জিয়ার দুই পুত্র যে দুর্নীতির বড় পুত্র তা দেশবাসীর বেশ ভালভাবেই জানা আছে। তাই এ বিষয়ে নতুন করে জনগণকে তেমন কিছু বলারও নেই। তবুও আইনজীবী নেতা বলেছেন, ‘২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর ছোট ছেলে অরাফাত রহমান কোকোও গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালের শেষ দিকে প্যারোলে মুক্ত হয়ে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান।

২০০৭ সালের ১৬ নবেম্বর সিঙ্গাপুরের এ্যাকাউন্টে যখন ওই অর্থ জমা হয়েছিল তখন কোকো কারাগারে ছিলেন। ফলে, ওই সময় তার পক্ষে ব্যাংক হিসাব পরিচালনার সুযোগ ছিল না। এখন কোথা থেকে কার টাকা ফেরত এনে তা কোকোর নামে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে সেটিই খতিয়ে দেখার বিষয়। দুদকের একজন পদস্থ কর্মকর্তা এ মর্মে চ্যালেঞ্জ প্রদান করে বলেছেন যে, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য আবোল-তাবোল না বলে দেশে ফিরিয়ে আনা পাচার করা টাকা যে কোকোর নয় তা প্রমাণ করুন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা দরকার যে, বিগত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশের সরকারী মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের একটি প্রকল্পের কাজ পেতে জার্মান বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স এজির মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান সিমেন্স বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের ঘুষ দেয়।

এর মধ্যে কোকোও ছিলেন। ২০০৫ সালে সিঙ্গাপুরে একটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এই অর্থ লেনদেন হয়েছিল। এই ঘুষের অর্থই ফেরত আনা হয়েছে। বিশ্বের সব দেশেই কমবেশি দুর্নীতি হচ্ছে। এ রোগটি থেকে মুক্ত কোন দেশই নয়।

দুর্নীতি একেবারে রোধ করাও কোনভাবেই সম্ভব নয়। এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অনেক দেশেও দুর্নীতির খবর মাঝে-মধ্যেই শোনা যায়। আমাদের দেশেও দুর্নীতি নতুন কোন বিষয় নয়। বহু দুর্নীতির কথা অনেক বছর আগে থেকেই মানুষ শুনে আসছে। টিআইবির রিপোর্ট অনুযায়ী বিগত আওয়ামী লীগ সরকার একবার ও বিএনপি-জামায়াত সরকার পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তকমা কপালে এঁটেছিল।

বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনা দেশে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি প্রশংসা করতে না চাইলেও দুদকের তৎপরতা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে। বিদেশে অর্থ পাচার বা মানি লন্ডারিংয়ের কথা বেশ শোনা গেলেও বিদেশে পাচারকৃত কারও টাকাই ফেরত আনা যায়নি। বিষয়টি তাই একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এখন হয়ত বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনা যাবে।

আর সেজন্যই সবাই এই উদ্যোগটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখে এটাকে স্বাগত জানাচ্ছে। টাকা পাচারকারীরা একটি নিশ্চিত বার্তা পেয়েছেন যে, এখন এ রকম ন্যক্কারজনক কাজ করার আগে তারা শতবার ভেবে দেখবেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের এই সক্রিয় তৎপরতা দেশের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলাদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সবাইর একান্ত বিশ্বাস। সুত্র  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.