বিজয়ী সূর্য
সাইবার যুদ্ধব্যবস্থা আসন্ন!বিদ্যুৎ ক্ষেপণাস্ত্র বানাল যুক্তরাষ্ট্র, সফল পরীক্ষা
অফিসে কাজ করছেন। সবাই নিমগ্ন নিজ নিজ পিসিতে। রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সব গোপন তথ্য আপনারাই পাহারা দেন। বছরের ৩৬৫ দিন সার্ভার চালু যাতে থাকে সে ব্যবস্থা করা আছে। তাই এক দণ্ডের জন্য পিসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হওয়ার কোন জো নেই।
কিন্তু এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটিই আজ ঘটলো। ধাম করে আপনার কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলো। আতঙ্কে আপনার চোখ তখন বিস্ফারিত। মুহূর্তেই গায়ের রক্তও হিম হয়ে যায় যখন দেখেন চারপাশের সব সহকর্মীর কম্পিউটারই কোন্ অর্দশ্য সুইচে বন্ধ হয়ে গেছে। আপনারা কেউ তখনো জানেন না অফিস ভবনের উপর দিয়ে উড়ে গেছে শত্রুদেশের চালকবিহীন বিমান বা ড্রোন।
সেটির নিক্ষিপ্ত মাইক্রো্ওয়েভ মিসাইলে মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে গেছে আপনার রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাবিষয়ক সব গবেষণাতথ্য, উপাত্ত।
প্রথম পাঠে দৃশ্যটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মনে হলেও খবর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এই মাইক্রো্ওয়েভ মিসাইল ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে। আমেরিকার বিমাননির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে বলে আজ সোমবার খবর দিয়েছে স্কাইনিউজ অনলাইন। ইরান, উত্তর কোরিয়া, চীন, আল-কায়েদা, তালিবান থেকে শুরু করে বিশ্বের যে কারো জন্যই এটি এক ভয়ঙ্কর বার্তা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার শুরু হলে প্রচলিত যুদ্ধের চেহারাটাই বদলে যাবে।
কারণ যে কোন দেশ বা প্রতিষ্ঠানকেই এ সাইবার-অস্ত্রের সহজ লক্ষ্য করা যাবে।
স্কাইনিউজ জানায়, বোয়িং যে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালিয়েছে সেটি বানাতে দুই কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় হয়। আর পরীক্ষাটি চালানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের একটি মরুভূমিতে। কাউন্টার ইলেক্ট্রনিকস হাই-পাওয়ারড মাইক্রোওয়েভ অ্যাডভান্সড প্রজেক্ট (সিএইচএএমপি) নামের এক প্রকল্পের আওতায় একটি রকেট নিক্ষেপ করা হয় পূর্বনির্ধারিত পথ ধরে। সে পথের আশপাশেই ছিল একটি সেনাঘাঁটি।
রকেট থেকে নিক্ষিপ্ত মাইক্রোওয়েভ সেই ঘাটিঁর গোটা কম্পিউটার ব্যবস্থাকেই বিকল করে দেয়। পরীক্ষার স্বার্থে যে ক্যামেরা সংযোজন করা হয়েছিল সেটিও এই
মাইক্রোওয়েভ মিসাইলের অদৃশ্য অস্ত্র থেকে রক্ষা পায়নি। বৈদ্যুতিক তরক্ষের ধাক্কায় মুহূর্তেই ক্যামেরাটি রেকর্ড করা বন্ধ করে দেয়।
বোয়িং ফ্যানটম ওয়ার্কসের সিএইচএএমপি প্রকল্পের সবাই এ সাফল্যে খুশি। প্রোগ্রামটির ব্যবস্থাপক কেইথ কোলম্যান বলেছেন, \"এই প্রযুক্তিটি আধুনিক যুগের যুদ্ধব্যবস্থাকেই পালটে দেবে।
অদূর ভবিষ্যতে এমনকি সশস্ত্রবাহিনী বা যুদ্ধবিমান পৌঁছার আগেই ব্যবহার করা হতে পারে এই মাইক্রোওয়েভ ক্ষেপণাস্ত্র।
বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং তাদের পরীক্ষার বিশদ বিবরণ প্রকাশ করলেও যথারীতি গোপন রেখেছে এই বৈদ্যুতিক ক্ষেপণাস্ত্র নিমার্ণের কৌশল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই ক্ষেপণাস্ত্রে আছে শক্তিশালী ইলিক্ট্রনিক পালস কামান।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেখানো পথ ধরে অন্যান্য অনেক দেশ ইলেক্ট্রনিক পালস অস্ত্র তৈরি করা শুরু করবে। রয়াল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ট্রেভর টেইলর বলেন, \"অতীতে দেখা গেছে কোন একটি দেশ গুরুত্বপূর্ণ কোন একটি প্রযু্ক্তির বিকাশ ঘটালে অন্যরাও খুব স্বল্প সময়ে তা করতে সক্ষম হয়।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বেলায় কী হয়েছিল তা তো সবারই জানা। \" সূত্র : স্কাইনিউজ অনলাইন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।