দেশ নিয়ে পুরাই হতাশ,,,, তাও ভালবাসি দেশকে। স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভর্তি পরীক্ষার সময়ে ক্যাম্পাসে কর্মকা- চালাতে এসে শুক্রবার রাতে হাতেনাতে ধরা পড়েছে বুয়েটের এক শিবির ক্যাডার আই এম ইকবাল। সম্প্রতি শিবিরের তা-বে এই শিবির ক্যাডারের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাকে ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আহছান উল্লাহ হলের ১০৩ নম্বর কক্ষের এই শিবির ক্যাডার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। সম্প্রতি বুয়েটে ৫৯ শিবির সদস্যের যে গোপন তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে তাতে নাম আছে ইকবালের।
এদিকে তার মোবাইল ফোনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নাশকতার পরিকল্পনার আলামত পাওয়া গেছে। মোবাইল থেকে পাঠানো মেসেজে বলা হয়েছে, ‘গুলি লাঠিচার্জ বুলেট টিয়ারশেল কোন কিছুতেই পিছপা হওয়া যাবে না। মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজী। ’
এদিকে রাতে এই শিবির ক্যাডার পুলিশ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে বলেছে, বুয়েটের সাম্প্রতিক আন্দোলন ছিল তাদের পরিকল্পনার ফসল। যেখানে মূল নেতৃত্বে ছিলেন তাদের সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বুয়েটের চার শিক্ষক।
তাঁরা সংগঠনকে আর্থিকভাবেও সহায়তা করেন নিয়মিত। চার শিক্ষকের নামও প্রকাশ করেছে এই শিবির ক্যডার। সম্প্রতি আটক শিবির ক্যাডার শফিকুল ইসলামের ফেসবুক ও মেইলেও এই চার শিক্ষকের নাম পাওয়া গিয়েছিল। ফেসবুকে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া অভিযুক্ত শিক্ষকরা হচ্ছেন ড. মহবুব রাজ্জাক, ড, জাহাঙ্গীর, স্নিগ্ধা আফসানা, মোহাম্মদ আলী। এদের প্রত্যেককেই নিজেদের লোক বলে দাবি করেছে আটক শিবির ক্যাডার।
ঘটনা ইতোমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুুলিশ। এর আগে দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের তা-ব চালানোর সময় রাজধানীতে আটক শিবির ক্যাডার বুয়েট ছাত্র শফিকুল ইসলামের কম্পিউটার, ফেসবুক, ই-মেইলসহ কাগজপত্র প্রমাণ করে বুয়েটে জামায়াত-শিবির গড়ে তুলেছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। যেখানে একসঙ্গে কাজ করছে হিযবুত তাহ্রীর। কেবল তাই নয়, এতদিন নিজেদের চেহারা লুকিয়ে ‘সাধারণ শিক্ষক’ বলে দাবি করলেও শিবির ক্যাডারসহ পুরো শিবিরের সঙ্গে অন্তত চার শিক্ষকের সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ মেলে। যাঁরা শিবিরকে অর্থ যোগানসহ সকল কাজে উপদেষ্টার মতো কাজ করছেন।
যেসব শিক্ষক শিবির ক্যাডারদের সঙ্গে ই-মেইল ও ফেসবুকের মাধ্যমে মিলিত হয়ে শিক্ষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন অথচ বলেছিলেন ‘এই আন্দোলন মৌলবাদীদের নয়’। তাদের বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে সেদিন সুশীল সমাজেরও অনেকে উগ্রবাদী এসব শিক্ষক-ছাত্রকে আওয়ামী লীগের অবিচল সমর্থক মনে করেছিলেন। রাজধানীর মৌচাক থেকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শিবির ক্যাডার শফিকুল ইসলামকে আটক করেছিল রমনা থানা পুলিশ। সোহরাওয়ার্দী হলের ২০০৮ নম্বর কক্ষের এই শিবির ক্যাডারকে ইতোমধ্যেই রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। শফিকুলকে আটকের পর সোহরাওয়ার্দী হলের ২০০৮ ও ২০১১ নম্বর কক্ষে তল্লাশি চালায় বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষ।
সেদিন কক্ষ দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ জেহাদী বই, পুস্তক, সিডি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয় একটি কম্পিউটার ও শিবির ক্যাডারের একটি ডায়েরি। পরদিন রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতিতে অপর শিবির ক্যাডার আমিনুল ইসলামের ১০৮ নম্বর কক্ষে আবার অভিযান চালাল বুয়েটের ছাত্ররা। আমিনুল পালিয়ে গেলেও উদ্ধার হয় রামদা, গোলাবারুদ, জেহাদী বইসহ বেশ কিছু আলামত। শিবিরের তা-ব ও ক্যাম্পাসের কর্মকা- প্রকাশ হয়ে পড়ার পর বুয়েটে ক’দিন ধরেই উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে।
আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝ
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2012-12-01&ni=117286 ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।