একটা মুখ, অসম্ভব রহস্যময় একটা মুখ! মেয়েটা কি সুন্দরী?! উ হু, তবে কুৎসিত ও না। তার চোখে বেদনার নীল নাকি স্বপ্নের অঞ্জন, ঠোঁটের কৌণিক বিন্দুতে মিষ্টি হাসির মধুরতা নাকি ঘৃণার বিষ বুঝা গেল না; কিছুতেই না। ক্ষণিক দেখা সেই মেয়েটা আমার মধ্যে কি যে করে গেল আমি জানি না, পাগলের মত আমি তাকে খুঁজেছি; পাই নি। একদিন আনমনে আমি হেঁটে যাচ্ছিলাম, হটাত অনেক গুলো ঝর্ণার এক সাথে বয়ে যাওয়ার শব্দ তুলা হাসি। উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখি আকাশের মত নীলের উপরে সাদা সুতোয় কাজ করা জর্জেট শাড়ি পরা একটা মেয়ে, বয়স আঠারো কি আটাশ বুঝা গেল না; আমার সেই রহস্যময়ী।
থমকে দাঁড়ানো আমি ভাবতে লাগলাম কি করে অপরিচিতার সামনে গিয়ে বলি, আমি হাত জোড় করছি, মিনতি করছি, আমায় তোমার রহস্যের রাজ্যে একটু ঢুকতে দাও; আমি দেখব ওখানে কত সুখ, কত ঐশ্বর্য, কত বেদনার দুঃখ বুনা।
তার অনেক দিন পরে টেলিফোনে রঙ নাম্বারে একটা মেয়ের সাথে কথা হল আমার। আমি চমৎকৃত হলাম, মুগ্ধ হলাম, প্রেম নিবেদন করলাম তাকে, সেও সাড়া দিল খুব সহজেই। কিছুদিন পরে যখন পরিচয় জানতে চাইলা্ম, বেঁকে বসল সে, কিছুতেই আমার সামনে আসবে না। জোর করতেই বলল তোমার-আমার সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া কিছুতেই সম্ভব না।
, ভুলে যাও আমায়, আমায় ক্ষমা কর। আমার পক্ষে তখন তা প্রায় অসম্ভব ছিল। খুব জোর করতে সে কাঁদল, সে কান্নায় মনে হল তার অনেকদিনের বেদনার সমুদ্র আজ বাঁধ ভেঙ্গেছে। ডেড হয়ে গেল নাম্বার টা; আর আমি তাকে খুঁজে পাই নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।