সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপর শর্তারোপ করা দশটি বিভাগে ভর্তির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একইসাথে ঐ শর্তারোপের সিদ্ধান্ত্ম কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবে না তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মাদরাসার শিক্ষার্থী মো. কামাল উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম, মো. ওমর ফারুক এবং মো. শরীফুল ইসলামের এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দেন।
আদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার এবং একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। রায়ে ২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ে ২০০ নম্বরের শর্তারোপের সিদ্ধান্ত্ম এবং ২০১২-২০১৩ সেশনের জন্য প্রণীত ভর্তি নির্দেশিকা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়।
আদেশ পালনে সংশিষ্টরা ব্যর্থ হলে আদালত অবমাননা হবে বলেও রায়ে জানানো হয়। রিটকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিকী ও এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসে আদালতের আদেশ সম্বলিত উকিল নোটিশ পৌছানো হয়েছে।
নোটিশটি পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ সেশনের ভর্তি নির্দেশিকায় ১০টি বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ে ২০০ নম্বরের শর্তারোপ করা হয়েছে।
বিভাগগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, ভাষা বিজ্ঞান, আন্ত্মর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজ বিজ্ঞান, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, পপুলেশন সায়েন্সেস, আইন বিভাগ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারাবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউট।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর আইন বিভাগ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারাবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটে ভর্তির ক্ষেত্রে একই শর্তারোপের বিষয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।