আমি। কেউ না। তবে মাঝে মাঝে আমার দুষ্ট মনটা কানে কানে এসে বলে, তুমি মহাকালের উচ্ছল সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো এক কচুরিপনা । কালের ঊর্মিমালার সাথে সাথে নাচা ছাড়া তোমার আর কোন কাজই নেই..... [ উৎসর্গ : স্কুলে পড়ার সময় বন্ধুরা বলতো; এ বয়স অবাধ্য; যখন যা মন চাই তাই করার বয়স। কলেজে উঠে ছূটিয়ে ভালবাসবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে ঘর বাঁধব। এত দিন এদের কথায় সায় দিতাম ঠিক মন মেনে নিতোনা। আজ বাধ্য হচ্ছি মানতে। কলেজ থেকে বেরুতেই একটা মেয়েকে দেখলাম। তেমন সুন্দর মনে হলো না।
রাজকন্যা বলার প্রশ্নই উঠেনা। প্রথমে তেমন কোন আকর্ষনও ছিল না। কদ্দুর যাওয়ার পর পেছনে তাকলাম অজানা কারণে। মেয়েটাকে তার বান্ধবীর সাথে হাসতে দেখলাম। যেন মুক্তোর বিন্দু ঝরছে।
এতো সুন্দর মেয়েটা। আমার কল্পনার উর্ধ্বে। আর বাসায় ফিরতে পারিনি। যতক্ষন ও দাঁড়িয়েছিল। আমিও দাঁড়িয়ে ছিলাম।
দু'জনে মিলে জন্মের সেরা হাসিগুলো হাসলাম। আর হয়তো এমন হাসি আমার জীবনে আসবেনা। তাই কবিতাটা তাকেই উৎসর্গ করলাম। ]
রাত বারোটা, কিম্বা তার ছেয়ে
ঢের গভীর। আমি চেয়েছি
আরও সুগভীর নিদ্রা রসে তলিয়ে
যেতে।
কিন্তু না, হলোনা, তোমার
সুখকর স্মৃতিগুলো মত্ত ঘোড়ার
মতো যে মাথার খোলসে ছুটাছুটি
করছে? মন চাইল তোমার সাথে
কাটানো মধুর স্মৃতির রোমান্থন
করতে। কপাট খুলতেই গা শিরশির
করে উঠলো আর্দ্র বায়ুর আদুরে
স্পর্শে। চোখ-মুখ বন্ধ করে পা বের
করলাম। মনে হলো, শীতের নির্যাতনে
পা আমার বরফায়িত হচ্ছে...
উপেক্ষা করলাম সবই। বেরুলাম আর
ঘুরলাম অন্ধকার পৃথিবীর পথে-প্রান্তরে...
কোয়াশার চাদরে ঢাকা চারি ধার।
চাঁদের আবছা সোনালী আলোয় চারপাশ
অসম্ভব সুন্দর কিন্তু ঝাপসা লাগছে। দৃষ্টি
বিদ্যুৎবেগে কদ্দুরে গিয়ে, দ্বিগুন বেগে ফিরে
আসছে আমার নয়নের ধারে...
প্রকৃতির টাঙানো কোয়াশার সামিয়ানা
ছিঁড়ে দূর আকাশ পানে ছুটলো
আমার অবাধ্য, দুষ্ট দৃষ্টি। আকাশের
বুকে জ্বলজ্বলে, গোলগাল, মনোহারী
চাঁদটারে মনে চলো চিরচেনা তুমি...
আর চাঁদের জিগরে আঁকা-বাঁকা সর্পিল
তরুটা মনে হলো আমি; তোমার
শিরা-উপশিরায় যার উষ্ণ বিচরণ...
এবং ঝিল ঝির ঝরে পড়া রুপালি
জোৎস্না প্রপাতগুলো মনে হচ্ছে
আমাদেরই উৎপাদ...
হে আবেগী রজনী, প্রভাতের
আগমন রুখো, তুমি পোহালেই
হয়তো আমি এবং আমার সুখ
জাগানিয়া স্মৃতিরা নিঃশেষ... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।