এখানে অসতেরা জনপ্রিয়, সৎ মানুষেরা আক্রান্ত-হুমায়ন আজাদ। আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে, কেনো খালেদা জিয়াকে ভারত এতটা খাতির করলো। দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গেলো, ৪০ পদের তরকারী দিয়ে খাওয়ালো। বাংলাদেশ সম্পর্কীত নীতি নির্ধারক ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সাথে নির্ধারিত সাক্ষাৎ বাতিল করে দিয়ে ঝুলিয়ে র
াখলো ৬ দিন। শেষ দিন শেষ বেলায় প্রণব দাদার দেখা মিললো বটে, কিন্তু দিল্লির ক্ষমতার প্রানভোমরা সোনিয়া গান্ধি অধরাই রয়ে গেলো।
আর এটা যে শেখ হাসিনার চাপেই হয়ছে, তা পরিস্কার। সোনিয়া দেখা না করে বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের কাঙ্খিত দল বিএনপি নয়, বরং আওয়ামীলীগ।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবর মতে, ভারত খালেদা জিয়াকে চাপ দিয়েছে, জামায়াতের সঙ্গ ছাড়া হতে। আর বেগম জিয়াও নাকি ঐরূপ কথা দিয়ে আসছেন! অবাক করার মত এ প্রস্তাব। এ দাবী এবং প্রচেষ্টা তো আওয়ামীলীগের।
গত ১৩ বছর যাবৎ শেখ হাসিনা বিএনপিকে জামায়াতমুক্ত করে পবিত্র করতে চাইছেন! তাহলে বুঝি বিএনপি জাতে উঠে। এ জন্য যতসব প্রোপাগান্ডা, মামলা, হামলা, জুলুম সব হয়েছে এবং হচ্ছে। অথচ এই জামায়াত যখন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল অবধি আওয়ামীলীগের সাথে একসাথে আন্দোলন করেছে, সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছে, এক টেবিলে বসে নিজামী ও হাসিনা খেয়েছে, তখন জামায়াত রাজাকার ছিলো না, ছিলো মুক্তিযোদ্ধার দল! তাই না?
তাহলে সমস্যার কেন্দ্রটি কোথায়? এটি হচ্ছে জামাতের ফিক্সড ভোট। হিন্দু ভোট যেমন আওয়ামীলীগের ফিক্সড, তেমনি প্রত্যেকটা নির্বাচনী এলাকায় ১০ হাজার থেকে কোথাও ৫০ হাজার সলিড ভোট আছে জামায়াতের। বিএনপির জোট থেকে জামায়াতকে ছুটাতে পারলে ৩০০ সিটেই এর প্রভাব পড়বে, ফলে অল্প ভোটের ব্যবধানে বিএনপির অনেক সিট ছুটে যেতে পারে।
এ ঘটনাটি নিশ্চিত করতে পারলে আওয়ামীলীগের আর পিছু তাকাতে হবে না। এভাবে, কেবল ২০২১ সাল নয়, হাসিনার আজীবনের জন্যও ক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব।
২০০৯ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিএনপি জোট থেকে জামায়াতকে ছুটাতে আওয়ামীলীগ যা যা চেষ্টা দরকার, সব করেছে। মামলা, হামলা, জেল, হত্যা এমনকি যুদ্ধাপরাধের খরগ। এত কিছু করেও লক্ষে পৌছাতে পারেনি সরকার।
নির্বাচনের যখন আর কয়েকমাস বাকী, বিএনপি জোটের যখন বিশাল জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল, ঠিক তখনি হলো সরাসরি মিজাইল আক্রমন। বিএনপি নেত্রীকে ডেকে নেয়া হলো দিল্লিতে। খাতির করা হলো, আবার চানক্যের চালও দেয়া হলো। বাঙ্গালি প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি ২৮ তারিখের পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎ দিলেন না। ৬ দিন ঝুলিয়ে রাখলেন।
সোনিয়া ব্যস্ত। মুসলমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশীদ ডিনারের কথা বলে হায়দারাবাদ হাউজে ডেকে নিয়ে খালেদা জিয়াকে। চাপ দিলেন, “আমাদের সমর্থন চাইলে জামায়াতকে ছাড়তে হবে। ” আগেরদিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেনন বাবুও দেখা করে বিএনপির আমলনামা পাঠ করে গেলেন। অর্থাৎ তোমরা ক্ষমতায় থাকতে এটা করেছো, ওটা করেছো।
কিন্তু উনারা কি কি করেছেন, আর কি করবেন, সে কথাটি বলেন নি। এটাই হচ্ছে চাণক্যের খেলা।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের খবর যদি সঠিক হয়, তবে আমরা বুঝতে পারছি, বিএনপি অচিরেই জামায়াতকে ছাড়বে, আর হিন্দুস্তান এসে লাখ লাখ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়াকে জিতিয়ে আনবে। তখন সবাই সমস্বরে বলবে- জয় বাংলা..জয় হিন্দ!! এরপরে বেগম জিয়াকে আবার ভারতে দাওয়াত দিয়ে নেয়া হবে। গায়ে উত্তরীয় আর কপালে তিলক দিয়ে “ইন্দিরা গান্ধী পদক” দিয়ে জাতে তোলা হবে- হরিবল হরিবল।
ম্যাডাম, ভারত ঘুরে আসছেন। ভালো কথা। যা হওয়ার হয়েছে। এটাই কূটনীতি। মনে রাখবেন, ভারতের সাপোর্ট নিয়ে আপনি কোনোদিনই ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।
শহীদ জিয়ার আদর্শের বাইরে গেলে ভরাডুবি হবে। আপনার দরকার জনসমর্থন আর আল্লাহর রহমত। সেটা আছে, ভুলপথে চলে হারাবেন না সবকিছু।
লিখাটি ফেসবুক Qamrul Islam এর পেজ থেকে নিয়া হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।