আমার আমি কে খুঁজি পড়াশুনা শেষ করে চাকুরীর জন্য হন্ন হয়ে ঘোরা, বিত্তশালীদের তো কোন চিন্তা নাই কিন্তু মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তের সংক্ষ্যা এদেশে অনেক এরা কি করবে? ছোট্টবেলা বাবা মার মুখে শুনেছিলাম পড়ালেখা করে যে গাড়ি ঘোড়ায় চড়ে সে, এখন শুধু এটা মুখের বুলি। একবার হুমায়ুন আহমেদ স্যারের একটা বইতে পড়েছিলাম ঢাকা ভার্সিটির মেধাবী ছাত্র যাকে কিনা দেখা গেছে আমেরিকাতে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে ফুল বিক্রি করতে, কেন আমি নিজেই তো দেখেছি ঢাকা বাংলা কলেজ থেকে ডিগ্রী করে শো পিচ বিক্রি করছে সেই কলেজের সামনে এরকম অনেক ঘটনাই চোখে পড়ে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ।
আসুন এবার যাই আসল কথায়.................
মার্ষ্টাস শেষ করে কামরুল হাসান গেল একটা সরকারী চাকুরী করতে তার সবই ঠিক আছে রিটেন, বাইবা সবগুলোতে টিকেছে কিন্তু পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে তাহলে হয়ত তার চাকুরীটা হতে পারে।
তার বাবা তাকে বড় কষ্ট করে পড়াশুনা করিয়েছে গ্রামের সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে ছেলেকে ঢাকা রেখে পড়াশুনা করিয়েছে, এখন তার সম্বল বলতে শুধু ভিটাখানা।
যাই হোক কি করার ছেলে তো চাকুরীটা হলে একদিন আবার সব হবে এই আশায় শেষ সম্বলটুকুও বিক্রি করে ছেলেকে টাকা পাঠালো।
কামরুল হাসান তার জানাশোনা লোকের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা দিল, এখন অপেক্ষা।
কিছুদিন পর........ শোনা গেল এ বছর আর কোন লোক নেয়া হবে না কারন কোন এক নেতার চারজন লোক নিতে তারা বাধ্য হয়েছে।
এখন কামরুল হাসান অসহার হয়ে সেই সব লোকদের খুজছে যাদের মাধ্যমে টাকা দিয়েছিল কিন্তু তাদের কি আর পাওয়া যায়।
নি:স্ব হয়ে পাগলের মত রাস্তায় হাটছে আর ভাবছে কি জবাব দেবে সে বাবাকে শেষ সম্বলটুকু তার জন্য বিক্রি করে দিল এখন কি হবে ......মাথা ভনভন করে ঘুরছে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না ।
অবশেষে জীবনের কাছে হার মেনে কামরুল হাসান বেছে নিল মৃত্যুর পথ চলে গেল এই পৃথিবীর বুক থেকে।
এরকম অজশ্র কামরুল হাসান বেছে নিয়েছে- হয় মৃত্যু নয় নেশা, আমাদের এই স্বাধীন দেশে এরকম ঘটনা অজশ্র।
আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরীক কিন্তু স্বাধীনতা কোথায়?
আমরা সবই বুঝি কিন্তু বুঝেও না বোঝার ভান করে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি।
##আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে বেকারত্বের এই অভিশাপ থেকে আমরা কবে মুক্তি পাব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।