কনফেডারেশনস কাপ একেবারে দোরগোড়ায়। অথচ জ্বলে উঠতে পারছিল না আয়োজক ব্রাজিল। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের অস্বস্তি কাটল গত রাতে।
২১ বছর পর ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেয়েছে ব্রাজিল। জয়টা এসেছে ৩-০ গোলে।
স্কোরলাইন দেখে মনে হচ্ছে, কী দাপুটে খেলাটাই না খেলেছে ব্রাজিল! আদতে তা হয়নি। বড় ব্যবধানে জিতলেও সত্যিকারের ব্রাজিলের দেখা মেলেনি এ ম্যাচেও; বরং ফ্রান্সের খেলা ছিল যাচ্ছেতাই।
ফরাসিদের বিপক্ষে ‘ঐতিহাসিক’ জয়ের পরও তাই তো উচ্ছ্বাসের সাগরে ভাসতে পারছেন না ব্রাজিলীয় খেলোয়াড়েরা। ব্রাজিল উন্নতি করছে, তাতেই তৃপ্ত নেইমার, ‘জয় পেয়ে আমরা খুশি। প্রতিটি ম্যাচেই উন্নতি করছি।
উন্নতির ইচ্ছা আমাদের রয়েছে। এই জয় কনফেডারেশনস কাপে আত্মবিশ্বাস জোগাবে আমাদের। ’
ব্যক্তিগতভাবে গত রাতটা ভালো কাটেনি ২১ বছর বয়সী নেইমারের। গোল পাননি, নিজেকে সেভাবে মেলেও ধরতে পারেননি সম্প্রতি বার্সায় যোগ দেওয়া এই খেলোয়াড়। ইউরোপীয় রক্ষণভাগের সামনে আরেকবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ব্রাজিলের প্রাণভোমরা।
স্কলারি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ছয় ম্যাচে জয় কেবল একটি। সীমাহীন চাপ নিয়েই গতকাল মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। ফ্রান্সের বিপক্ষে বড় জয়ে সেই চাপ কিছুটা হলেও কেটেছে। ম্যাচ শেষে জয়ের আনন্দ প্রকাশের চেয়ে সামগ্রিক বাস্তবতায় ভবিষ্যতের ওপরই জোর দিলেন স্কলারি, ‘গোটা দল এক হয়ে খেলেছে। আমরা এমন প্রতিযোগিতামূলক দল গড়তে কাজ করছি, যেটি ম্যাচ জিতবে।
’
গত নভেম্বরে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্কলারির পারফরম্যান্স সন্তুষ্ট হওয়ার মতো নয়। গতকালের জয়টা ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে, এই যা। তবে আশাহত না হয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ডিফেন্ডার দানি আলভেজ। ব্রাজিল ও বার্সা তারকার বিশ্বাস, সফলতা আসবে বিশ্বজয়ী স্কলারির হাত ধরেই, ‘বিশ্বাস করুন, স্কলারি আবারও নিজেকে সফল প্রমাণ করবেন। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, শান্ত থাকতে হবে।
কারণ এর মধ্য দিয়েই সফলতা আসবে। ’ সূত্র: রয়টার্স। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।