আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসামে বিদেশী শনাক্তকরণ ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশের জন্য অশনি সংকেত।

ভারতের দালাল ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ। আসামে বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চলছে বিদেশীদের সেখান থেকে বের করে দিতে। আসামের পাশে হওয়াতে সেখানে বাংলাদেশী অনেক বেড়ে গিয়েছে এই কথা বলে আসামের বেশ কিছু সংগঠন বাংলাদেশীদের সেই দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। আসামের রাজনৈতিক দলগুলোও এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতে পিছপা হচ্ছে না। তাদের কথা হল বাংলাদেশ থেকে মুসলমান এসে এই এলাকার ধর্মীয় পরিচয় বদলে দিচ্ছে।

বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে বিদেশীদের আতাত খোজার চেষ্টা নতুন নয়। কিছুদিন আগের ভয়াবহ জাতিগত দাঙ্গা বিদেশীদের দাড়া হয়েছে বলে গল্প ছড়ানো হয়েছে এবং সাধারন মানুষ এই গল্প বেশ গিলেছে বলেই মনে হচ্ছে। এই বিদেশী সনাক্ত করতে নতুন সংযোজন বিদেশী শনাক্তকরণ ট্রাইব্যুনাল। এর যাতা কলে পরে অনেক দেশীই বিদেশী হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই কাজ করলে বাংলাদেশর কি ক্ষতি? বাংলাদেশ বড়জোর মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে একটু কথা বলতে পারে।

বাকি কি সমস্যা? জি ভাই/বোন সমস্যা আছে। কারন ভারত এই বিদেশীদের সবার আগে বাংলাদেশের দিকেই ঠেলে দিবে। ভারতের ভাষ্য মতে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী অবৈধ ভাবে ভারতে অবস্থান করছে। এর ফলে সেই দেশের ধর্মীয় পরিচয় বদলে যাচ্ছে। এই মানুষগুলোকে এর আগেও বাংলাদেশে পুশ করার চেষ্টা হয়েছে।

তৎকালিন বিডিআর বেশ দক্ষতার সাথে সবাইকে পুশ ব্যক রকেছে। কিন্তু কথা হল কতকাল চলবে এই দশা? তারা নিয়ম করে আইনের মাধ্যমে বিদেশী খুজে বের করছে? তারা বিদেশী হিসেবে প্রমাণ হলে প্রথম কথাই আসে তারা কোন দেশের? এ ক্ষেত্রে যেহেতু বাংলা ভাষাভাষী হিন্দু ও মুসলিমদের খুজে বের করা হচ্ছে তাই সবার আগে এদের বাংলাদেশী বলে চালানো হবে। আর এদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে যে চাপ দিবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এমনো হতে পারে এই বিদেশীদের তারা পুশইন করার চেষ্টা করবে। আমাদের দেশের জনসংখ্যার সাথে যদি আরো কয়েক কোটি যুক্ত হয় তখন কেমন হবে? কিংবা এই মানুষগুলো যদি এই দেশে চলে আসতে বাধ্য হয় তখন পরিস্থিতি কি দাড়াবে? চিন্তা করার এখনি সময়।

এই ট্রাইবুনালে চলছে বিচারের নামে প্রহসন। জানতে দেখুন একটা কথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই যে কিছু বাংলাদেশী সেই দেশ অবশ্যই আছে। কিন্তু এর অর্থ এই না যে এত বেশী আছে। তাদের অনেকই যে আমাদের দেশ বাজার করতে চলে আসে এবং এখানে থেকে যায় অবৈধ রোজগারের জন্য তাদের নিয়ে তো তারা কথা বলে না। সরকারের আশু চিন্তা ভাবনা আশা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.